10505

04/20/2025 লোক দেখানো হলেও ছাত্রলীগের কাজে মানুষের উপকার হয়েছে

লোক দেখানো হলেও ছাত্রলীগের কাজে মানুষের উপকার হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২১:৩৫

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেছেন, ছাত্রলীগের দুয়েকটি ঘটনা নেতিবাচকভাবে আলোচনা হয়। অথচ কোভিডের সময় ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতাকর্মী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল। প্রথমদিকে যখন ধানকাটা শুরু করল, অনেকে লোক দেখানো বলে ব্যাপক নেতিবাচক সমালোচনা শুরু করে। লোক দেখানো হলেও কিন্তু মানুষ তাদের কাজের উপকার পেয়েছে।

শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম সিনিয়রস ক্লাবে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের নিয়ে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

আমিনুল ইসলাম বলেন, একজন বক্তা বলেছেন— এখন লাঠিচালান দিলেও আওয়ামী লীগবিরোধী লোক খুঁজে পাওয়া যায় না। এখন সবাই আওয়ামী লীগ করতে চায়, রাজনীতি করতে চায় না। যখন মানুষ রাজনীতি করতে চাইবে তখন শুদ্ধতা ও সৃজনশীলতার প্রতিযোগিতা হবে। আমি কোনো যুক্তি বিশ্বাস করি না। আমি এটাও বিশ্বাস করি না, একজন একটা অন্যায় করেছে, সেটা আমিও করব। ভুল-ভ্রান্তি সবার আছে। আওয়ামী লীগেরও আছে, ছাত্রলীগেরও আছে। তবে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ কিন্তু অ্যাকশন (অনিয়মের বিরুদ্ধে) নিচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের যে ভুল-ভ্রান্তি হচ্ছে না তা নয়। কিন্তু সেগুলোর লিমিট কতটুকু ও কাজের পরিমাণ কতটুকু? প্রতিদিন বলা হচ্ছে— সরকার কাউকে কথা বলতে দিচ্ছে না। কথা যদি বলতে না দেয় প্রতিদিন মিডিয়ায় আওয়ামী লীগ, সরকারের কিংবা অনেক বড় বড় নেতাদের দুর্নীতির কথা কীভাবে আসছে? বলা হচ্ছে— মেগাপ্রকল্প, মেগাদুর্নীতি। যদি মেগাদুর্নীতি হয় তাহলে তো কোনো বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের সুযোগই নেই। প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষে তিন লাখ পরিবারকে গৃহদান করলেন। পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩৫০ থেকে ৪০০ বাড়ি ভেঙে পড়ল। এসব বাড়ি ভেঙে পড়লেও বাকি লোকের তো উপকার হলো।

বিএনপির উদ্দেশে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক বলেন, স্বাধীনতার ৫১ বছর হয়ে গেল। কেন এত বছর পর চট্টগ্রামে ফ্লাইওভার বানাতে হলো? কেন এতদিনে হয়নি? দক্ষিণ এশিয়ায় কোনো টানেল নেই, অথচ বাংলাদেশে হচ্ছে। এখন তারা বলছে লোক দেখানো হচ্ছে। লোক দেখানো হলেও মানুষ তো উপকৃত হচ্ছে। দুর্নীতির মামলায় আওয়ামী লীগের তিন-চারজন সাংসদ এখনো কোর্টে হাজিরা দিচ্ছেন। সরকার যদি অ্যাকশন না নেয়, তারা কেন কোর্টের বারান্দায় দৌড়াচ্ছেন? অনিয়ম করলে শেখ হাসিনা কাউকেই ছাড়ছেন না।

এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, কয়েকদিন আগে পত্রিকায় দেখলাম হাজী সেলিমের ছেলে ইরফানের জামিন ক্যান্সেল। পরে আবার জামিন দেওয়া হলো। কেন জামিন দিলো এটা নিয়েও সমালোচনা ঝড়। একজন মানুষকে ঘুষি মারলে তার সর্বোচ্চ শাস্তি কতদিন হতে পারে? একটা ঘুষি মারার কারণে ইরফান সেলিম আট মাস জেলে ছিল। এরপরও যদি জামিন দেয়, বলা হচ্ছে— বিচার বিভাগকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করছি। একটা ঘুষির সাজা আট মাসের জেল হতে পারে কি না?

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]