বিয়ের অনুষ্ঠানে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটালেন বর-কনে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর বিয়ের সকল আয়োজন করা হয়েছিল। তবে বিয়ের অনুষ্ঠানে কনের সঙ্গে ঝগড়া ও কথা কাটাকাটির জেরে বিষপান করেন বর। এই ঘটনা শুনে সঙ্গে সঙ্গে বিষপান করেন কনেও।
বিষপানের জেরে বরের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে গুরুতর অসুস্থ কনেকে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ইন্দোর শহরে। ভারতীয় বার্তাসংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরে বিয়ের অনুষ্ঠানে নিজেদের মধ্যে ঝগড়ার পর বিষপানে ২১ বছর বয়সী এক বর মারা গেছে বলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। অন্যদিকে একইসময়ে বিষপান করা কনের অবস্থাও গুরুতর বলে জানিয়েছেন তিনি। গত মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটে।
ওই কর্মকর্তা বলেছেন, বিষপানের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়া বরকে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে ভুক্তভোগী নববধূ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন এবং কার্যত নিজের জীবন বাঁচাতে লড়াই করছেন।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রমজান খান বলেন, ইন্দোরের কানাদিয়া এলাকার একটি আর্য সমাজ মন্দিরে যথাক্রমে ২১ ও ২০ বছর বয়সী ওই বর-কনের বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। তবে নিজেদের মধ্যে ঝগড়ার কারণে মন্দিরে বিয়ের অনুষ্ঠানেই বর বিষপান করে এবং পরে এই ঘটনা নিজেই তার ২০ বছর বয়সী কনেকে জানায়।
তিনি বলেন, ‘কনে যখন জানতে পারে যে, বর বিষপান করেছে, সঙ্গে সঙ্গে সেও তা পান করে। ডাক্তাররা লোকটিকে মৃত ঘোষণা করেছেন, অন্যদিকে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমে রাখা ওই নববধূর অবস্থা খুবই গুরুতর।’
তার মতে, বরের পরিবারের সদস্যরা বলেছেন- নববধূ তরুণী গত কয়েক দিন ধরে ওই ছেলেকে বিয়ের জন্য চাপ দিয়ে আসছিল। তবে ওই ছেলে তার ক্যারিয়ারের কারণে তাদের বিয়ের জন্য দুই বছর সময় চেয়েছিল। তবে মেয়েটি এটা না মেনে তার (বরের) বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন।
এই ঘটনায় তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ইতোমধ্যেই এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। তদন্তে নেমে বেশ কিছু তথ্যও এসেছে পুলিশের কাছে। জিজ্ঞাসাবাদে বরের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিয়ের জন্য গত কয়েকদিন ধরেই পাত্রের ওপর চাপ দিতে থাকেন পাত্রী। তবে নিজের ক্যারিয়ারের কথা ভেবে বিয়ের জন্য দুই বছরের সময় চেয়েছিলেন পাত্র।
কিন্তু এই শর্তে কোনওভাবেই রাজি ছিলেন না কনে। আর তাই যুবকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন ওই যুবতী। এরপর বিয়ের আয়োজন হলেও তাদের দু’জনের চারহাত হলো না এক। বিয়ের অনুষ্ঠানে ঝগড়ার কারণে নিজেদের শেষ করে দিতে চেয়েছিলেন বর-কনে।
অবশ্য কনে প্রাণে বাঁচলেও বিয়ের দিনই মৃত্যু হলো যুবকের।