13602

09/22/2024 আধুনিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড বাংলাদেশের

আধুনিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড বাংলাদেশের

ক্রীড়া ডেস্ক

১৭ জুন ২০২৩ ২০:৪২

আফগানিস্তানের বিপক্ষে এর আগে সাদা পোশাকের প্রথম দেখাতেই পরাজিত হয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে বাংলাদেশকে তারা বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল।

সেই আফগানিস্তানের বিপক্ষেই এবার লিটন দাসের দল আধুনিক ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড গড়েছে।

একমাত্র টেস্ট খেলতে এসে ৫৪৬ রানের পাহাড়সম ব্যবধানে হারের স্বাদ পেয়েছে আফগানরা। পাঁচ দিনের টেস্ট ম্যাচ শুরু হওয়ার পর ক্রিকেটবিশ্ব এত বড় জয় আর দেখেনি।

এর আগে ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়ের রেকর্ড গড়েছিল ইংল্যান্ড। ১৯২৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাঠেই ইংলিশরা ৬৭৫ রানে জয় পেয়েছিল।

এরপর ১৯৩৪ সালে সেই অস্ট্রেলিয়াই এবার ইংল্যান্ডের মাঠে গিয়ে স্বাগতিকদের ৫৬২ রানে হারায়। তবে সে সময় টেস্ট ম্যাচ গড়াতো তিন-চার-পাঁচ কিংবা সীমাহীন দিনে।

১৯৫০ সালের পর পাঁচদিনের টেস্ট ম্যাচের সূচি নির্ধারিত হয়। সেই হিসেবে আধুনিক ক্রিকেটে পাওয়া সবচেয়ে বড় জয়টি বাংলাদেশের দখলে।

তবে শুধু রানের হিসাবে (ইনিংস ব্যবধান বাদ দিলে) টেস্ট ইতিহাসের এটি তৃতীয় বৃহত্তম জয়। একইসঙ্গে চলতি শতাব্দীতেও এটি সবচেয়ে বড়। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এই টেস্টে নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মুমিনুল হকের জোড়া সেঞ্চুরিতে ৬৬২ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয় স্বাগতিকরা। সেই রান তাড়ায় সফরকারীরা মাত্র ১১৫ রানেই থেমে যায়।

কেবল রানের ব্যবধানেই নয়, বাংলাদেশের স্মরণীয় জয়ের ম্যাচে টাইগাররা রেকর্ডবইয়ে পৃথক একাধিক ক্ষেত্রে নাম তুলেছে। দুই ইনিংস মিলিয়ে মাত্র ৪৩২ বল খেলতে পেরেছে আফগানিস্তান।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যেটি রেকর্ড। এর আগে টাইগাররা ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সর্বনিম্ন ৫৭৬ বলের মধ্যে দুবার অলআউট করেছিল। মিরপুরের সে ম্যাচটি তারা জিতেছিল ইনিংস ও ১৮৪ রানে। সবমিলিয়ে প্রতিপক্ষকে সবচেয়ে কম বলের মধ্যে দুবার অলআউট করে দেওয়ার রেকর্ডটি ইংল্যান্ডের। ১৮৯৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে দুবার অলআউট করতে তাদের লেগেছিল মাত্র ২৪৮ বল।

মিরপুর টেস্টে ব্যাটারদের পর বোলিং তোপ দেগেছেন স্বাগতিক পেসাররা। তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন এবং শরীফুল ইসলামরা দুই ইনিংসে আফগানদের ১৯ উইকেটের ১৪টিই নিয়েছেন। এর মাধ্যমে ঘরের মাঠে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়লেন টাইগার পেসাররা। এর আগে দেশের মাঠে বাংলাদেশের পেসারদের সর্বোচ্চ ১০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড ছিল। ২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রামে তারা ওই কীর্তি গড়েছিলেন।

বাংলাদেশের হয়ে সাদা পোশাকে নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান চোটের কারণে দলের বাইরে আছেন। তার অনুপস্থিতিতে সহকারী অধিনায়ক লিটন দাস এই ম্যাচে টাইগারদের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
অধিনায়ক হিসেবে তার অভিষেকে ম্যাচেই বাংলাদেশ এত বড় জয়ের রেকর্ড গড়ল। এর আগে ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে অধিনায়কত্বের অভিষেকে জয় পেয়েছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।

যদিও সে ম্যাচে তিনি এক ইনিংস ব্যাটিংয়ের পর ৬.৩ ওভার বোলিং করে চোটের কারণে উঠে গিয়েছিলেন। ক্যারিয়ারে এরপর আর টেস্টও খেলেননি এই ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক। ফলে সিরিজের পরের টেস্টে মাশরাফির অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাকিব।

টেস্টে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সাকিব দ্বিতীয় বিজয়ী। এবার তার স্থলাভিষিক্ত লিটনও একই স্বাদ পেয়েছেন।

টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে (রানে) জয়ের রেকর্ড
১. ৬৭৫ রানে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়াকে (১৯২৮, ব্রিসবেন)
২. ৫৬২ রানে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডকে (১৯৩৪, ওভাল)
৩. ৫৪৬ রানে বাংলাদেশ-আফগানিস্তানকে (২০২৩, মিরপুর)
৪. ৫৩০ রানে অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকাকে (১৯১১, মেলবোর্ন)
৫. ৪৯২ রানে দক্ষিণ আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়াকে (২০১৮, জোহাননেসবার্গ)

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]