1545

04/20/2024 ফের পাঁচদিনের রিমান্ডে মামুনুল হক

ফের পাঁচদিনের রিমান্ডে মামুনুল হক

আদালত প্রতিবেদক

৪ মে ২০২১ ১৯:৩৭

হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হকের ফের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

চলতি বছরের ২৬ মার্চ বায়তুল মোকাররমে চালানো তাণ্ডবের ঘটনায় করা মামলায় তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। মঙ্গলবার (০৪ মে) ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদারের আদালত শুনানি শেষে এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিন আসামি মামুনুল হককে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর চলতি বছরের মার্চে বায়তুল মোকাররমে হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় পল্টন থানায় করা পৃথক দুই মামলায় তাকে মোট ১৭ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এসময় আসামি পক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পল্টন থানার দুই মামলায় মোট পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ২৬ এপ্রিল পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় চার দিন ও মতিঝিল থানার মামলায় তিনদিনসহ মোট সাতদিনের রিমান্ডে নেয়া হয় মামুনুল হককে। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী শুনানি শেষে রিমান্ডের এ আদেশ দেন। এ রিমান্ড শেষে আজ ফের আদালতে নেয়া হয় মামুনুল হককে।

এর আগে, ১৯ এপ্রিল মামুনুলকে আদালতে তোলা হয়। আগেই তার বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারী ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১৮ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসা থেকে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি জেলায় তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলাম। ব্যাপক সহিসংতা চালানো হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। টার্গেট করে হামলা চালানো হয় সরকারি স্থাপনায়। করা হয় অগ্নিসংযোগ। নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত করে হেফাজত নেতাকর্মীরা। আক্রোশ থেকে বাদ যায়নি গণমাধ্যমও।

সহিংসতার ঘটনায় দেশের বিভিন্ন জেলায় শতাধিক মামলা হয়। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারায়ণগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও চট্টগ্রাম জেলার ২৩টি স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সিআইডিকে।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৫ মে অবরোধ কর্মসূচির নামে লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও আরামবাগসহ আশপাশের এলাকায় যানবাহন ও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় পল্টন থানায় মামলা করা হয়।

সম্প্রতি বায়তুল মোকাররম মসজিদ, পল্টন, যাত্রাবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব এবং ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এরপর এ ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা হয়। তদন্তে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তদন্তের অংশ হিসেবে সেদিনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্য, একইসঙ্গে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে জড়িতদের শনাক্ত করা হচ্ছে। পরে নিশ্চিত হওয়ার পরই সন্দেহভাজন আসামিদের গ্রেফতার করছে পুলিশ।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]