রাখি সাওয়ান্তকে ‘কন্ট্রোভার্সি কুইন’ বলে সম্বোধন করা হয়। বলিউডের এই বিতর্কিত মডেল ও অভিনেত্রী কাজ দিয়ে শিরোনামে না এলেও ব্যক্তিগত জীবনে বিতর্কিত সব কর্মকাণ্ড দিয়ে ঠিকই সংবাদের শিরোনামে আসেন।
দিন কয়েক আগেই ওমরাহ পালন করে দেশে ফেরেন। এরপর থেকেই তার বেশভূষায় এসেছে আমূল পরিবর্তন। বোরকা-হিজাব পরেই বাইরে বের হচ্ছেন।
রাখির সাম্প্রতিক ও অতীত কর্মকাণ্ড নিয়ে এবার মুখ খুললেন বলিউডের আরেক অভিনেত্রী গওহর খান। এ সময় তিনি রাখিকে অদ্ভুত মুসলিম বলেও কটাক্ষ করেন। যদিও নাম নেননি তিনি, তারপরও নেটিজেনদের বুঝতে বাকি নেই কাকে তোপ দাগিয়েছেন গওহর।
এ অভিনেত্রী বলেন, ‘কিছু মানুষ ইসলামকে নিয়ে ছেলেখেলা করছে। মক্কার মত পবিত্র তীর্থস্থানকে রীতিমতো হাস্যকর নাটুকে আখড়ায় পরিণত করেছে। আমি ভাবি, যারা কেবলমাত্র এই প্রচারের আলোয় আসতে চায় তারা সেখানে যাওয়ার অনুমতি কীভাবে পায়! এক মুহূর্তে এরা বলে আমি ইসলাম গ্রহণ করেছি, পর মুহূর্তে বলছে আমাকে জোর করা হয়েছে। যত সব বেকার কাণ্ড।’
এছাড়া তিনি ভারত ও সৌদি আরবের মুসলিম সম্প্রদায়কে রাখির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেছেন। রাখিকে অদ্ভুত মুসলিম আখ্যা দিয়ে গওহর আরও বলেন, ‘অদ্ভুত হিজাব পোশাক পরলে মুসলিম হওয়া যায় না। আল্লাহর প্রতি ভালোবাসাই মানুষকে সত্যের পথে এগিয়ে নিয়ে যায়।’
সাবেক স্বামী আদিল খান দুরানিকে বিয়ের পরপরই মুসলিম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে দেখা যায় রাখি সাওয়ান্তকে। যদিও তখন তিনি বলেছিলেন, ইসলাম গ্রহণ করতে কেউ তাকে জোর করেননি। বরং নিজের ইচ্ছাতেই করেছেন। তবে এখন সুর পাল্টে মিডিয়ার সামনে দাবি করছেন যে, তাকে জোর করে ইসলাম কবুল করতে বলা হয়েছে। তারপরও থামাথামির নামগন্ধ নেই। মক্কা শরিফে গিয়ে কান্নাকাটি করতে দেখা যায় তাকে। এ সময় তিনি নিজের এমন পরিস্থিতির জন্য আদিল দুরানিকে দোষারোপ করেন।
মক্কা থেকে ফিরতেই রাখির পোশাক ও আচরণে ব্যাপক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। নিজেকে রাখি নয় বরং ফাতিমা বলতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন তিনি। পরপুরুষের থেকে দূরে থাকছেন। তাদের ছোঁয়াও সহ্য হচ্ছে না। আর এসব কিছুই নজরে আসে গওহর খানের। বিষয়টিকে ‘পাবলিসিটি স্টান্ট’ বলেই মনে হচ্ছে তার।