18307

05/18/2024 ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা

৭ম শ্রেণীর ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

১৬ জানুয়ারী ২০২৪ ১৫:০৫

মানিকগঞ্জে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী আফরোজা আক্তার (১৩) নামের এক কিশোরির আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। তার পরিবারের দাবি আফরোজা ২ মাসের গর্ভবতী ছিলো, প্রেমিক অস্বীকার করার কারণেই এই আত্মহত্যা বলে জানান।

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই বিষয়টি অভিযোগ করে বলেন নিহতের বড় বোন সুরমা আক্তার।

গতকাল সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের চান্দর (টেনারিমোড়) এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। পরে রাত ৯টার দিকে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট্য জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসে পুলিশ।

নিহত আফরোজা আক্তার এই গ্রামের আজগর আলীর মেয়ে। সে গড়পাড়া বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী।

নিহতের বড় বোন সুরমা আক্তার বলেন, পার্শ্ববর্তী বাড়ির মো. মকুল মিয়ার ছেলে সাব্বির হোসেনের (১৯) সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো তার বোনের। গত দুই মাস আগে আমাদের বাড়িতে রাতে সাব্বির ও আমার বোনকে এক কক্ষে সন্দেহ জনক ভাবে দেখতে পায়। সে সময় মানসম্মানের ভয়ে কাওকে কিছুই বলিনি। শুধু মাত্র সাব্বিরের পরিবারে কছে জানাই তাদের ছেলেকে শাসন করার জন্য। এর পরেও সাব্বির আমার বোনকে স্কুলে যাওয়ার পথে বিরক্ত করতো বলে জানতে পারি। গত ২দিন আগে আমাদের পার্শ্ববতী বাড়ির ৮ বছরের শিশুকে দিয়ে আমার বোন প্রেগনেন্সির টেস্ট কিট সাব্বিরের কাছে পাঠায়। এই বিষয়টি দেখতে পান পাশের বাড়ির ভাবি। সে এই বিষয়টি আমার দাদির কাছে জানান।

নিহত আফরোজার দাদি মানিকজান বেগম বলেন, ঘটনাটি শোনার সাথে সাথে আমার নাতনী আফরোজাকে ডাক দিয়ে ঘরের পিছনে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে জিজ্ঞাসা করি। তখন আমার নাতনি আমার কাছে বলে সাব্বিরের সাথে তার এক বছর ধরে প্রেম। তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বেশ কয়েকবার অবৈধ সম্পর্ক করে সাব্বির। সে জন্য আফরোজার পেটে বাচ্চা আসে। সে কারণে পরীক্ষা করার জন্য গোপনে প্রেগনেন্সির টেস্ট কিট (কাঠি) এনে পরীক্ষা করে আমার নাতিন। সেই কাঠিতে দুই দাগ উঠলে নাতনী বুঝে যায় তার পেটে সাব্বিরের বাচ্চা। তখন সেই কাঠিটা আবার সাব্বিরের কাছে পাঠায়।

তিনি আরও বলেন, এই বিষয় গুলি সাব্বির অস্বীকার করলে আমার নাতনী নানান দুশ্চিন্তায় আত্মহত্যা করেছেন বলে জানান তিনি।

এই বিষয়ে জানার জন্য সাব্বির হোসেনের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার বাবার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, তার ছেলের সাথে আফরোজার প্রেমের কথা তিনি জানেন না। তিনি জানান তার মেয়ের সাথে আফরোজা খেলাধুলা করতো। তার ছেলে কোথায় গেছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন আমার ছেলে কলেজে গেছে। তার সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা কথা বললে তিনি জানান তার ফোন নষ্ট হয়ে গেছে।

সদর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মো. হাবিল হোসেন বলেন, এই বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। আফরোজার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নিয়ে আসা হয়েছে। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]