অপহরণের এক বছর পর চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল থেকে এনজিও কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিনের (৪৫) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার রামগড় গহীন জঙ্গলের ৫০ ফুট গভীর একটি পরিত্যক্ত কূপ থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
এর আগে বুধবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে অপহরণের সঙ্গে জড়িত বিল্লাল ও রাজা নামের দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আসামিদের স্বীকারোক্তিতে তাদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহের সন্ধানে ১৭ ঘণ্টা অভিযান চালায় পিবিআই।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তথাকথিত কোটি টাকা মূল্যের তক্ষক কম মূল্যে বিক্রির নাম করে গত বছরের ২২ নভেম্বর বাবুল সিকদার নামের এক ঠিকাদার এবং সেতু বন্ধন এনজি’র ম্যানেজার হেলাল উদ্দিনকে ফটিকছড়িতে এনে অপহরণ করা হয়। পরে অপহরণকারীরা তাদের পরিবারের কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণ দাবির কয়েকদিনের মাথায় অপহরণকারীরা বাবুলকে মুক্তি দিলেও এনজিও কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এরপর লাশ ফেলে দেওয়া হয় জঙ্গলের সেই পরিত্যক্ত পানির কূপে।
অপহরণকারীদের হাতে নিহত হেলাল উদ্দিন চাঁদপুর জেলার মতলব থানার খাদের গাঁও ইউনিয়নের নাগদা গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে।
এদিকে স্বামী নিখোঁজের পর নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী কানিজ ফাতেমা পিংকী বাদী হয়ে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর ভুজপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে চলতি বছর মার্চ মাসে মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর হয়। হত্যাকাণ্ডের এক বছরের মাথায় বুধবার ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজনকে পিবিআই গ্রেপ্তারের পর বের হয়ে আসে চাঞ্চল্যকর এ তথ্য। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হেলালকে হত্যা ও লাশ গুমের তথ্য পেয়ে শুরু হয় মরদেহ উদ্ধারের তৎপরতা।
চট্টগ্রাম অঞ্চলের পিবিআই পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান বলেন, ‘গ্রেপ্তার আসামি আমাদের কাছে স্বীকার করেছে তারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল। তাদের স্বীকারোক্তিতে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।’