28305

04/20/2025 ধরা পড়েননি পালানো ওসি: ডিএমপি কমিশনার

ধরা পড়েননি পালানো ওসি: ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক

২১ জানুয়ারী ২০২৫ ১৫:২৮

কুষ্টিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে আনার পর রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানা থেকে পালানো সাবেক ওসি শাহ আলম এখনো ধরা পড়েননি। যদিও তাকে পুনরায় গ্রেপ্তারে সারা দেশে রেড অ্যালার্ট জারি করেছিল পুলিশ।

এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, সাবেক ওসিকে পুলিশ ছেড়ে দেয়নি। দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। তাকে যদি পুলিশ ছাড়বেই তবে কুষ্টিয়াতেই ছেড়ে দিত, ঢাকায় আনার পর না। এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলাজনিত কারণে সংশ্লিষ্ট দুজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ওই পালানো ওসিকে এখনো ধরা সম্ভব হয়নি। যথাসম্ভব তিনি ইন্ডিয়া বা পাশের দেশে পালিয়ে গেছেন।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির নেতাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।

জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘটনার একটি মামলায় গত ৮ জানুয়ারি উত্তরা পূর্ব থানার ওসি শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ৯ জানুয়ারি দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছিল। সেদিন সকালেই তিনি উত্তরা পূর্ব থানার ওসির কক্ষ থেকে পালিয়ে যান।

অভিযোগ ওঠে, হত্যা মামলার আসামি শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করে হাজতখানায় না রেখে ওসির কক্ষে রাখা হয়। পুলিশ সদস্যের অবহেলায় তিনি পালাতে সক্ষম হন। এরপর পলাতক ওসি শাহ আলমকে ধরতে সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশের সব কয়টি ইউনিট কাজ শুরু করে। তবে সবশেষ আজ (মঙ্গলবার) দুপুর পর্যন্ত তাকে ধরা যায়নি।

পালানো ওসির খোঁজ মিলেছে কি না জানতে চাইলে শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, সাবেক ওসিকে আমরা কুষ্টিয়া থেকে ধরে এনেছিলাম। পালানোর পর প্রশ্ন উঠেছে যে পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে। আমরা ছেড়ে দেওয়ার জন্য তো ধরিনি। যদি ছেড়েই দেব তাহলে কুষ্টিয়া থেকে ধরে আনার দরকার ছিল না। সেখানেই তো ছেড়ে দিতে পারত পুলিশ।

তিনি বলেন, বাস্তব কথা হচ্ছে যে একটু সহানুভূতি দেখাতে গিয়েছিল পুলিশ সদস্যরা। হাজতখানায় না ঢুকিয়ে একজন পুলিশ অফিসারের রুমে রাখা হয়। হাজতে থাকলে হয়ত পালাতে পারত না। একজন সাব ইন্সপেক্টরের দায়িত্বে রাখা হয়েছিল। সেখানে সে হয়ত কেয়ারলেস হয়েছিল, এর ফাঁকে সেই সাবেক ওসি পালিয়ে গেছে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা তাকে ধরার খুব চেষ্টা করছি। তবে আমার ধারণা সে হয়ত এ দেশে আর নেই, ইন্ডিয়া বা অন্য কোথাও পালিয়ে গেছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) নবনির্বাচিত সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল, নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির সহ সভাপতি উমর ফারুক আল হাদী, সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশাহ্, যুগ্ম সম্পাদক নিয়াজ আহমেদ লাবু, অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ মাহমুদ খান, দপ্তর সম্পাদক ওয়াসিম সিদ্দিকী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নিহাল হাসনাইন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম মানিক, প্রশিক্ষণ ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক জসীম উদ্দীন, আইন ও কল্যাণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, আন্তর্জাতিক সম্পাদক হাবিবুল্লাহ মিজান, নির্বাহী সদস্য জিয়া খান, ইমরান রহমান, মোহাম্মদ জাকারিয়া।

ডিএমপির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলী; যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড গোয়েন্দা-দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম; উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান ও উপ-পুলিশ কমিশনার (সদরদপ্তর ও প্রশাসন) শাহ মো. আব্দুর রউফ; মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. জাহাঙ্গীর কবির।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]