দেশে সবধরনের ইন্টারনেটের দাম বর্তমান দাম থেকে ১০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা আগামী এপ্রিল মাস থেকে কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রোববার (২৩ মার্চ) বিকেলে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসির (বিএসসিপিএলসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আসলাম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শনিবার (২২ মার্চ) বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির বোর্ড সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যা শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে। আগামী এপ্রিল মাস থেকে ১০ শতাংশ কমিয়ে নতুন দাম কার্যকর করা হতে পারে।
আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি বিএসসিপিএলসি-এর পক্ষ থেকে জানানো হবে বলেও জানান তিনি ।
এদিকে, প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, ইন্টারনেটের দাম কমানোর জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। মানুষ যেন সাশ্রয়ে ইন্টারনেট পায় তার জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাইকারি পর্যায়ে মূল্য কমানো তার মধ্যে অন্যতম। এ সিদ্ধান্তের ফলে ইন্টারনেটের আন্তর্জাতিক গেটওয়ে লেভেলে সব ব্যান্ডউইথের জন্য দাম ১০ শতাংশ কমে আসবে। এছাড়া ব্যাকবোন পর্যায়ে মোবাইল কোম্পানিগুলোকে ডিডব্লিউডিএম (DWDM) সুবিধা দেওয়ার কথা হচ্ছে। যার ফলে ট্রান্সমিশন বাবদ টেলিকম কোম্পানিগুলোর খরচ ৩৯ শতাংশ কমে যাবে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ এ সহকারী বলেন, ইতোমধ্যে টেলিকম অপারেটরদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। অপারেটররা ভোক্তা পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্য ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।'
আগামী বছরের মাঝামাঝি তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিমিউই-৬ এর সঙ্গে বাংলাদেশ যুক্ত হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে তৎকালীন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলসের পক্ষ থেকে ইন্টারনেটের দাম কমানোর একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন। এছাড়া গতবছর, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ও কলরেটের দাম কমানোর বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ভোক্তারা দাবি জানিয়েছিলেন।