পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে চতুর্থ দিনের মতো ট্রেনে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। গত ১৭ মার্চ যারা টিকিট কিনেছেন তারা আজ ট্রেনে যাত্রা করছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকালে ট্রেন যাত্রা ছিল বেশ স্বস্তির। তবে আজকে থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিসে ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস হওয়ায় বিকেলের দিকে চাপ বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।
সকাল ১০টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ যাত্রী বেড়েছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে। সকাল থেকে সব ট্রেনই ছেড়েছে নির্দিষ্ট সময়ে। ট্রেন ছাড়ার প্রায় দুই ঘণ্টা আগেই স্টেশনে অপেক্ষা করছিল পঞ্চগড় অভিমুখী একতা এক্সপ্রেস। যাত্রীদের কোনো হুড়োহুড়ি পারাপারি ছিল না। সবাই স্বস্তিতেই যার যার সিটে বাড়ি ফিরছেন। তবে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে শুধু চিলাহাটি অভিমুখী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিকেল থেকে ট্রেনে চাপ বাড়তে পারে। কারণ আজকের পর থেকে টানা নয় দিনের ছুটিতে যাচ্ছেন সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ কারণে অনেকেই অফিস শেষ করে বিকেলের ট্রেন ধরার চেষ্টা করবেন। তাছাড়া রাতে ট্রেনে আরও চাপ বাড়তে পারে। তবে সব ঈদযাত্রা স্বস্তির করার জন্য সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
এবারের ঈদযাত্রায় ট্রেনের সূচি বজায় রাখা ও শিডিউল বিপর্যয় নিরসনে ঢাকাগামী ৯টি ট্রেনের বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতি বাতিল করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ঈদে সারাদেশে চলাচলকারী ১২০টি আন্তঃনগর ট্রেনের বাইরেও রয়েছে পাঁচজোড়া বিশেষ ট্রেন। তাছাড়া বিভিন্ন লোকাল, কমিউটার ও মেইল ট্রেন চলাচল করছে।
স্টেশন ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন জানান, সাধারণত কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সবচেয়ে বেশি ঘরমুখো মানুষ ট্রেনযোগে ঈদযাত্রা করেন। এ কারণেই বাড়তি নজর রয়েছে কমলাপুরে। যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা সফল করতে আমরা বদ্ধপরিকর।
ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ঢাকাগামী একতা, দ্রুতযান, পঞ্চগড়, নীলসাগর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, চিলাহাটি ও বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনগুলোর ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রাবিরতি থাকবে না।
স্টেশন ম্যানেজার বলেন, আজ থেকে যাত্রী বেড়েছে। আমাদের পরিকল্পনাও সেভাবে সাজানো হয়েছে। যাত্রী ভোগান্তি এড়াতে আমাদের এখানে (কমলাপুর স্টেশন) কোনো ট্রেন পৌঁছালে সেটি দ্রুত ছাড়ার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া আজ থেকে ঈদ স্পেশাল ট্রেনও চলাচল করছে।