আইপিএলের মাঝপথে এসে ব্যাটারদের ব্যাট নিয়ে শুরু হয়েছে কড়া নজরদারি। এখন থেকে মাঠে নামার আগেই ওপেনারদের ব্যাট চতুর্থ আম্পায়ার গেজ দিয়ে পরিমাপ করে দেখবেন। বাকি ব্যাটারদের ব্যাট ইনিংস শুরুর আগে চেক করবেন অন-ফিল্ড আম্পায়ার।
এর আগে ম্যাচ শুরুর আগে ড্রেসিংরুমে ব্যাট চেক করা হতো। কিন্তু এবার নিয়ম বদলেছে। হঠাৎ করেই এই মৌসুমে অনেক ব্যাটার নিয়ম ভাঙায় কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
নতুন নিয়ম চালুর দুদিন পরই দেখা যায় চমক! পাঞ্জাব কিংস বনাম কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যাচে সুনীল নরাইন ও অনরিখ নরকিয়ার ব্যাট গেজ টেস্টে উত্তীর্ণ হয়নি। ব্যাটের গঠন আইসিসির নির্ধারিত সীমার বাইরে ছিল বলে জানা গেছে।
আইনের ভাষায়, ব্যাটের চওড়া সর্বোচ্চ ৪.২৫ ইঞ্চি, গভীরতা ২.৬৪ ইঞ্চি এবং প্রান্তের পুরুত্ব ১.৫৬ ইঞ্চির বেশি হওয়া চলবে না। এগুলো ছাড়াও আরও কিছু নিয়ম রয়েছে:
১. ব্যাট সাইজ ৬ এর বেশি হলে হ্যান্ডলের দৈর্ঘ্য পুরো ব্যাটের ৫২% এর বেশি হতে পারবে না
২.ব্যাটের ব্লেডে লাগানো কাভারিংয়ের পুরুত্ব ০.১ সেন্টিমিটারের বেশি নয়
৩.ব্যাটের নিচের অংশে সুরক্ষার জন্য থাকা ম্যাটেরিয়াল সর্বোচ্চ ০.৩ সেন্টিমিটার পুরু হতে পারবে
নতুন নিয়মের কথা আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে। কেউ আপত্তি করেনি।
একইসঙ্গে খেলোয়াড়দের সেলিব্রেশন নিয়ে কিছুটা শিথিলতা আনা হয়েছে আম্পায়ারদের গাইডলাইনে। লখনৌ সুপার জায়ান্টসের দিগ্বেশ রাঠিকে ‘নোটবুক সেলিব্রেশন’-এর কারণে দুবার শাস্তি দেওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েন আম্পায়াররা। এরপরই সেলিব্রেশন নিয়ে কিছুটা নরম মনোভাব নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
অন্যদিকে, আম্পায়ারদের ভূমিকা সীমিত করা হয়েছে আরও কিছু ক্ষেত্রে। এখন আর তাদের ফ্রন্টফুট নো-বল চেক করতে হয় না। এমনকি, রানআউট বা ফিল্ডে বাধা দেওয়ার ঘটনায় অধিনায়কদের কাছে ‘আপিল প্রত্যাহার করবেন কি না’ এই প্রশ্ন করাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সব মিলিয়ে ব্যাটের মাপজোখ থেকে শুরু করে মাঠের আচরণ, আইপিএলে বাড়ছে নিয়মের কড়াকড়ি। তবে কিছু জায়গায় আবার শিথিলতাও মিলছে খেলোয়াড়দের জন্য।