বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র পুরস্কার অস্কার। চলতি বছরের ৩ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের ডলবি থিয়েটারে বসেছিল ৯৭তম আসর। জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিনোদন দুনিয়ার শীর্ষ প্রতিভাবানদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।
বিশ্বের জনপ্রিয় অভিনেতারা প্রতিবছর চাতক পাখির মতো তাকিয়ে থাকেন অস্কার মঞ্চের দিকে। এবার জানা গেল তাবড়া অভিনয় শিল্পী ছাড়াও অস্কার ঘরে তুলতে পারবেন এ আই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) দিয়ে নির্মিত সিনেমা।
২০২৬ সালের ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে ৯৮তম অস্কার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান। তার আগেই কোন কোন নিয়ম মেনে সিনেমা নির্বাচিত হবে, অ্যাকাডেমি সদস্যদের কোন কোন নিয়ম বা রুল মেনে চলতে হবে তার একটা তালিকা প্রকাশ করেছে অস্কার কর্তৃপক্ষ।
সময়ের সঙ্গে একাডেমি অ্যাওয়ার্ডস নানা পরিবর্তন ও পরিবর্ধন। আসন্ন আসরকে সামনে রেখে এবার আরো দুটি নিয়ম সংযোজন করল দ্য একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস। একটি হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি নিয়ে।
নতুন আরেকটি নিয়ম ভোটারদের জন্য। যারা অস্কারে ভোট দেন, তাদের বাধ্যতামূলকভাবে মনোনয়নপ্রাপ্ত সব ছবি দেখতে হবে। তাছাড়া এবার থেকে কাস্টিংয়ের জন্যও দেওয়া হবে অস্কার।
এদিকে এক লিখিত বার্তায় অস্কার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘চলচ্চিত্র নির্মাণে জেনারেটিভ এআই কিংবা অন্যান্য ডিজিটাল টুল ব্যবহারের ফলে ছবির অস্কারে মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা কমে কিংবা বাড়ে না; বরং ছবির সৃজনশীলতাকেই প্রাধান্য দেবেন ভোটাররা।’
চলতি বছরের অস্কার আসরে ‘দ্য ব্রুটালিস্ট’ সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার পান অ্যাড্রিয়েন ব্রডি। এরপরই সিনেমাতে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়টি সামনে আসে। এই সিনেমায় অভিনেতাকে হাঙ্গেরিয়ান ভাষায় কথা বলতে দেখা গেছে। হাঙ্গেরিয়ান ভাষায় উচ্চারণ নিখুঁত করার জন্যই এআই প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েছিলেন ব্রডি।তবে এখন থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণে এআই ব্যবহারে কোনো বাঁধা থাকছে না।
বলে রাখা ভালো, সিনেমাতে এআই এটাই প্রথম না। এর আগে অস্কার বিজয়ী ‘এমিলিয়া পেরেজ’ সিনেমাটিতেও একই প্রকার ভয়েজ ক্লোনিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে গানের কণ্ঠস্বরকে আরও নিখুঁত করে তোলা যায়।
অস্কারজয়ী সিনেমাকে ইতিহাসের পাতায় অনন্য সম্মাননা দেওয়া হয়। তবে অস্কারের মঞ্চ সহজ নয় । কঠিন সব ধাপ পেরিয়ে সুযোগ মেলে অস্কারে প্রতিযোগিতা করার। এবার অস্কারের সেই রাস্তা আরও কঠিন করা হলো।