বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণের দাবিতে টানা সাত দিন ধরে রাজপথে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন বিএনপিপন্থি নেতাকর্মীরা। এরমধ্যেই ইশরাক হোসেন নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে নতুন নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন— ‘নির্দেশ একটাই যতক্ষণ দরকার রাজপথ ছেড়ে উঠে আসা যাবে না’।
বুধবার (২১ মে) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসে তিনি এমন নির্দেশনা দিয়েছেন।
যদিও এরই মধ্যে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিটের আদেশের দিন পিছিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই দিন ধার্য করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান মিলন। বিএনপি নেতা ইশরাকের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তাদের সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান ও অ্যাডভোকেট মাকসুদ উল্লাহ। গত ১৪ মে রিট আবেদনটি করেন ডিএসসিসির বাসিন্দা মো. মামুনুর রশিদ।
এতে বলা হয়, ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম যে রায় দিয়ে ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেছেন, তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হোক। একইসঙ্গে ওই রায় অনুযায়ী শপথ গ্রহণ বন্ধ রাখার নির্দেশনাও চাওয়া হয়।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলে নূর তাপস প্রায় পৌনে ২ লাখ ভোটে জয়ী হন। তবে গত ২৭ মার্চ সেই ফলাফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর নির্বাচন কমিশন ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে তাকে ডিএসসিসির নতুন মেয়র হিসেবে ঘোষণা দেয়।
এ প্রেক্ষাপটে গত সাতদিন ধরে টানা আন্দোলনে রয়েছেন ইশরাক হোসেনের সমর্থকেরা। নগর ভবনের সামনে প্রতিদিন কর্মসূচি পালন করলেও বুধবার অবস্থান পরিবর্তন করে মৎস্য ভবন মোড়ে অবস্থান নেন তারা। সকাল থেকেই প্রেসক্লাব, হাইকোর্ট ও শিক্ষা ভবন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে একত্রিত হয়ে মৎস্য ভবনের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। ফলে পুরো এলাকা যান চলাচলের জন্য অচল হয়ে পড়ে।
অন্যদিকে, নগর ভবনে কর্মচারীদেরও বিক্ষোভ চলছে। সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন দপ্তরে তালা ঝুলছে আগের মতোই।