33020

06/17/2025 বন্যায় পানি দূষণ ও পর্যালোচনা

বন্যায় পানি দূষণ ও পর্যালোচনা

অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা

১৭ জুন ২০২৫ ১০:৪১

জীবনের জন্য পানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পানি ও স্যানিটেশন, আমাদের ফসল, গবাদি পশু ও শিল্পের জন্য এবং গোটা জীবন যে বাস্তুতন্ত্রের ওপর নির্ভর করে তা তৈরি এবং টিকিয়ে রাখার জন্য বিশুদ্ধ স্বাদুপানির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। মানব স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিশুদ্ধ পানীয় পানি এবং আধুনিক স্যানিটেশন সেবার সুবিধা মানুষের মৌলিক চাহিদা।

তবে, বিভিন্ন ধরনের পরিবেশগত অবক্ষয় এই প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর সহজলভ্যতা হ্রাস করছে। প্রায় ১.৯ বিলিয়ন মানুষ সম্ভাব্য তীব্র জলাবদ্ধতাপূর্ণ অঞ্চলে বাস করে। ২০৫০ সালের মধ্যে, এই সংখ্যা প্রায় ৩ বিলিয়নে পৌঁছতে পারে। অনেক স্বাদুপানির উৎস শুকিয়ে যাচ্ছে, আরও দূষিত হচ্ছে, বিশ্বজুড়ে অসংখ্য মানুষের জীবন ও জীবিকাকে হুমকির মুখে ফেলছে এবং দারিদ্র্য আরও গভীর করছে। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৭টি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তন্মধ্যে লক্ষ্য ৬ হলো পরিষ্কার পানি। মানব সভ্যতাকে টিকিয়ে রাখতে লক্ষ্য ৬ অর্জনের কোনো বিকল্প নেই। আমাদের দেশে নানা কারণে বিশুদ্ধ পানি দূষিত হয়। আর এই দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পায় বন্যার সময়।

প্রতিবছর বাংলাদেশের প্রায় ২৬,০০০ বর্গ কিমি অঞ্চল অর্থাৎ ১৮ শতাংশ ভূখণ্ড বন্যা কবলিত হয়। ব্যাপকভাবে বন্যা হলে সমগ্র দেশের ৫৫ শতাংশের অধিক ভূখণ্ড বন্যার প্রকোপে পড়ে। প্রতিবছর গড়ে বাংলাদেশে তিনটি প্রধান নদীপথে মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত আর্দ্র মৌসুমে ৮,৪৪,০০০ মিলিয়ন কিউবিক মিটার পানি প্রবাহিত হয়। বাৎসরিক মোট প্রবাহের এটি ৯৫ শতাংশ। তুলনায় একই সময় দেশের অভ্যন্তরে ১৮৭,০০০ মিলিয়ন কিউবিক মিটার নদী প্রবাহ সৃষ্টি হয় বৃষ্টিজনিত কারণে।

ভৌগলিক কারণে বাংলাদেশে বন্যার প্রভাব রয়েছে। বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশ ভারতের নদী ব্যবস্থাপনার ওপর। ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে ভারী বর্ষণ এবং ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশ থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে ফেনী ও নোয়াখালীসহ দেশের এগারো জেলার ৭৩টি উপজেলা প্লাবিত হয়।

বন্যা পরিবেশের জন্য উপকারের পাশাপাশি ক্ষতিও বয়ে আনতে পারে। বন্যার ফলে কৃষিক্ষেত্রে পলি জমা করে জমিকে উর্বরা করতে পারে। বন্যার পরবর্তী সময়ে ফসল ভালো হয়। বন্যার পানি সেচের জন্য খালগুলোও পুনরায় পূরণ করে থাকে। অন্যদিকে বন্যা খাদ্য উৎস, ঘরবাড়ি এবং পরিবহন সেবার ক্ষতির পাশাপাশি পানিকে ভীষণভাবে দূষিত করে।

প্রতিবছর বাংলাদেশের প্রায় ২৬,০০০ বর্গ কিমি অঞ্চল অর্থাৎ ১৮ শতাংশ ভূখণ্ড বন্যা কবলিত হয়। ব্যাপকভাবে বন্যা হলে সমগ্র দেশের ৫৫ শতাংশের অধিক ভূখণ্ড বন্যার প্রকোপে পড়ে। প্রতিবছর গড়ে বাংলাদেশে তিনটি প্রধান নদীপথে মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত আর্দ্র মৌসুমে ৮,৪৪,০০০ মিলিয়ন কিউবিক মিটার পানি প্রবাহিত হয়।

বাংলাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে মোকাবিলা করতে গিয়ে ফসলের উৎপাদন বাড়াতে রাসায়নিক সার এবং কীটনাশকের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। কৃষির সাথে পাল্লা দিয়ে শিল্পায়নও হয়েছে। এক্ষেত্রে পোশাক শিল্প ও চামড়া শিল্প উল্লেখযোগ্য। এই শিল্পে প্রচুর পানি ব্যবহৃত হয় এবং নির্গত বর্জ্য পানি আশেপাশের নদী ও খাল বিলকে নিয়মিতভাবে দূষিত করছে। এই দূষণ প্রক্রিয়া আরও বেশি ঘটে যখন দেশে বন্যা দেখা দেয়।

বন্যা বাংলাদেশের পানিকে বিষাক্ত মিশ্রণে পরিণত করে। ২০২৪ সালের আগস্টের বন্যায় যখন তিনটি বড় নদীকে তাদের তীরে ঠেলে দেয়, তখন বাংলাদেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বাদামি পানি রাস্তাঘাট এবং ধানক্ষেতগুলো ভেঙে ফেলার চেয়েও বেশি কিছু করে। এটি কাঁচা পয়ঃনিষ্কাশন, কারখানার বর্জ্য পদার্থ এবং কৃষির সাথে যুক্ত ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের সাথেও মিশে গিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে যা কয়েক মাস পরেও কূপ এবং পানির লাইনগুলো আচ্ছন্ন করে রাখে। পানিবাহিত রোগ জীবাণু মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং বহু রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।

বাংলাদেশের যেসব এলাকায় পোশাক কারখানা রয়েছে, সেখানকার নদী, হ্রদ এবং ট্যাপের পানিতে বিপজ্জনক মাত্রায় বিষাক্ত ‘চিরস্থায়ী রাসায়নিক বা forever chemicals’ পাওয়া যাচ্ছে, যার কিছু কিছুর সাথে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার সম্পর্ক রয়েছে। পরিবেশ ও সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা (Esdo) এবং এনজিওগুলোর একটি নেটওয়ার্ক আইপেনের প্রতিবেদন অনুসারে ২০১৯ এবং ২০২২ সালে নেওয়া অনেক নমুনায় ইইউ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে অনেক বেশি PFAS (polyfluoroalkyl substances) ছিল।

PFAS হলো প্রায় ১০,০০০ রাসায়নিকের একটি পরিবার যা নির্দিষ্ট ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ধরনের গুরুতর অসুস্থতার সাথে যুক্ত। এগুলো ১৯৫০ সাল থেকে দৈনন্দিন ব্যবহার্য পণ্য তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এসব পদার্থকে ‘চিরস্থায়ী রাসায়নিক পদার্থ’ বলা হয় কারণ বিজ্ঞানীদের মতে যেসব পণ্যে এগুলো ব্যবহার করা হতো সেগুলো ফেলে দেওয়ার পর এগুলো নষ্ট হতে হাজার হাজার বছর সময় লাগতে পারে।

বিষয়টি নিঃসন্দেহে আমাদের ভাবায়। PFAS হলো কৃত্রিম রাসায়নিকের একটি বৃহৎ, জটিল গ্রুপ যা প্রায় ১৯৫০ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে এগুলো বিভিন্ন দৈনন্দিন পণ্যের উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। উদাহরণস্বরূপ, PFAS ব্যবহার করা হয় খাদ্য প্যাকেজিং বা রান্নার পাত্রে লেগে থাকা থেকে রক্ষা করতে, কাপড় এবং কার্পেটকে দাগ প্রতিরোধী করতে কার্যকর।

অণুতে সংযুক্ত কার্বন এবং ফ্লোরিন পরমাণুর একটি শৃঙ্খল থাকে। আমরা জানি যে, কার্বন-ফ্লোরিন বন্ধন সবচেয়ে শক্তিশালী বন্ধন হওয়ায় এই রাসায়নিকগুলো পরিবেশে সহজে ক্ষয় হয় না। একারণেই PFASকে “চিরস্থায়ী রাসায়নিক” পদার্থ বলা হয়েছে। বন্যার সময় এই দূষণকারী পদার্থগুলো কারখানার গেটের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ে। বন্যার সময় দূষিত রাসায়নিক পদার্থ ছাড়াও মাথা ব্যথার কারণ হলো পানিবাহিত রোগ জীবাণু। যেগুলো বন্যার সময় বিভিন্ন উৎস থেকে পানীয় পানির সাথে খুব সহজেই মিশে গিয়ে আন্ত্রিক রোগের সৃষ্টি করতে পারে। বন্যার সময় যেসব রোগ মারাত্মক আকারে দেখা দিতে পারে তার মধ্যে অন্যতম হলো কলেরা, ডায়রিয়া, টাইফয়েড, অ্যামিবিয়াসিস, হেপাটাইটিস, গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিস, জিয়ার্ডিয়াসিস এবং স্ক্যাবিস।

পৃথিবীর পৃষ্ঠের প্রায় ৭১ শতাংশ পানি হলেও পানীয় পানির পরিমাণ খুবই কম। পানি দূষণ নিয়ে লিখতে গিয়ে “স্যামুয়েল টেলর কোলরিজ”-এর একটি কবিতা “দ্য রিম অফ দ্য অ্যানসিয়েন্ট মেরিনার” কবিতাংশ মনে পড়ে গেল, "Water, water, everywhere, Nor any drop to drink.” যার ভাবার্থ হলো, "পানি, পানি, সর্বত্র, পান করার জন্য একটি ফোঁটাও পানি নেই।"

বন্যার সময় থইথই পানি থাকলেও খাওয়ার কোনো পানি থাকে না। ফলে বেঁচে থাকার জন্য এই দূষিত পানি পান করতে হয় এবং দেখা দেয় নানা ধরনের আন্ত্রিক রোগ। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় শিশুরা। ঢাকা শহর ঘিরে যে কয়েকটি নদী রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ এবং বালু। একদা এই জীবন্ত নদীগুলো আমরাই মেরে ফেলেছি। এই অবস্থায় পানিতে বসবাসকারী সব জীব হুমকির মুখে পড়েছে। কেন এমনটি হলো?

এর উত্তর হলো, এসব নদীর তীরে গড়ে উঠেছে নানা ধরনের শিল্প কলকারখানা। যার মধ্যে অন্যতম হলো চামড়া এবং টেক্সটাইল শিল্প। এই শিল্প থেকে প্রতিনিয়ত নির্বিচারে বর্জ্য পানি সরাসরি নদীতে পড়ছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যকর না হলে বন্যার সময় এইসব কলকারখানা থেকে নির্গত বর্জ্য পানি নদীগুলো আরও দূষিত করবে। যেসব কারণে ঢাকায় বন্যা দূষণ বাড়ায় তার মধ্যে অন্যতম হলো ঢাকার বর্জ্য পানির মাত্র এক-পঞ্চমাংশ পরিশোধিত হয় বলে মনে করা হয়।

ঢাকা শহরের স্যানিটেশন ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা এখনো ভালো নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্যানিটেশন টার্মটিকে নিম্নোক্তভাবে বিবৃত করেছে, "স্যানিটেশন বলতে সাধারণত বোঝানো হয়, মানব মল ও মূত্রের নিরাপদ নিষ্কাশনে যথাযথ ব্যবস্থা এবং সুবিধা প্রদান। 'স্যানিটেশন' শব্দটি দিয়ে আরও বোঝানো হয়, নিষ্কাশিত বর্জ্য এবং ব্যবহৃত পানি ইত্যাদির যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধিসমূহ মেনে চলা”।

বন্যার সময় স্যানিটেশন ব্যবস্থা অনেকটা ভেঙে পড়ে। এই সময় ড্রেনগুলো উপচে অপরিশোধিত বর্জ্য পাশের রাস্তা এবং খালে পড়ে। ট্যানারি, টেক্সটাইল মিল প্রায়শই নদীর ধারে একটু নিচু জমিতে অবস্থিত হওয়ায় বন্যার পানি তাদের বর্জ্যকে নিচের দিকে প্রবাহিত হয়। গ্রামীণ নলকূপ এবং পিট ল্যাট্রিনগুলো ধসে পড়ে, খোলা গর্ত থেকে জীবাণু নির্গত হয়ে নিকটবর্তী জলাশয়ে গিয়ে পানি দূষিত করে।

গৃহস্থালির পয়ঃনিষ্কাশন হলো রোগজীবাণু এবং পচনশীল জৈব পদার্থের প্রাথমিক উৎস। যেহেতু রোগজীবাণু মলের মাধ্যমে নির্গত হয়, তাই শহর ও শহরের সব পয়ঃনিষ্কাশনে কোনো না কোনো ধরনের রোগজীবাণু থাকার সম্ভাবনা থাকে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য সরাসরি হুমকিস্বরূপ। পচনশীল জৈব পদার্থ পানির গুণমানের জন্য ভিন্ন ধরনের হুমকিস্বরূপ। যেহেতু জৈব পদার্থগুলো ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য অণুজীব দ্বারা প্রাকৃতিকভাবে পচনশীল হয়, তাই পানির দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ হ্রাস পায়। এটি হ্রদ এবং নদীর গুণমানকে বিপন্ন করে।

বন্যার সময় খেতখামার থেকে বিভিন্ন ধরনের বিপুল পরিমাণ বালাইনাশক পানিতে মিশে গিয়ে মাছের মাধ্যমে আমাদের দেহে প্রবেশ করে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। একইভাবে চামড়া এবং পোশাক শিল্প কারখানা থেকে নির্গত ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ এবং ভারী ধাতু যেমন ক্রোমিয়াম পানিতে মিশে যায়। এসব ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ অনেকটা নীরব ঘাতক হিসেবে মানুষের শরীরে থেকে ক্যান্সার সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে।

আমরা সবাই পানি দূষণের বিরুদ্ধে। এই মুহূর্তে বন্যা এবং পানি দূষণ রোধে যে বিষয়গুলো বিবেচনা করা যেতে পারে সেগুলো হলো- স্কুল-কলেজ পর্যায়ের শিক্ষা কারিকুলামে পানি দূষণের প্রভাব ও পরিণতি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবহিত করা;

প্রিন্টিং এবং ইলেক্ট্রনিক প্রচার মাধ্যমের সাহায্যে পানি দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জনসচেতনতা মূলক প্রচার ব্যবস্থা করা;

কঠোর আইন প্রণয়নের মাধ্যমে দূষণকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা;

গৃহস্থালি বা শিল্পকারখানা থেকে নির্গত বর্জ্য পানি অবশ্যই ইটিপি বা বর্জ্য পানি শোধনাগারের মাধ্যমে পানি দূষণ রোধ করা যেতে পারে।

বাংলাদেশে বন্যা এবং পানি দূষণ এখন আর আলাদা গল্প নয় বরং একই জরুরি অবস্থার দুটি সূত্র। জলবায়ু-প্রভাবিত বন্যা বিষাক্ত রাসায়নিক এবং জীবাণুর অন্তর্নিহিত স্রোতকে মন্থন করে প্রাকৃতিক বিপদকে মানবসৃষ্ট স্বাস্থ্য সংকটে পরিণত করে। তবুও এই চক্র ভাঙার হাতিয়ারগুলো-শক্তিশালী পরিবেশগত পুলিশিং, বুদ্ধিমান পূর্ব সতর্কতা এবং পরিষ্কার পানির অবকাঠামোতে বিনিয়োগ অত্যন্ত অত্যন্ত জরুরি।

নীতিনির্ধারক, শিল্প নেতা এবং নাগরিকরা যদি একসাথে কাজ করেন, তাহলে পরবর্তী বন্যার দেশের মানুষের জীবনরেখাকে বিষাক্ত করার সুযোগ থাকবে না। জলাবদ্ধ ভবিষ্যতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষার প্রথম লাইন হলো পরিষ্কার পানি; এটিকে রক্ষা করাই হতে পারে দেশের জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতার সবচেয়ে বড় কাজ।

একবিংশ শতাব্দীর পানি দূষণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পরিবাশবান্ধব শিল্পকারখানা স্থাপনে প্রণোদনার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা পারি, পারতেই হবে আমাদের এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য।

অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা ।। চেয়ারম্যান, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]