ইরানে প্রধান তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় গত মাসে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এই হামলার ফলে দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচি অন্তত এক থেকে দুই বছর পিছিয়ে গেছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পেন্টাগন। খবর আল জাজিরা ও সিএনএনের।
তবে পেন্টাগনের এই তথ্য দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবির বিপরীত। ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, মার্কিন বাহিনীর হামলায় ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ হয়েছে।
স্থানীয় সময় বুধবার মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শন পার্নেল জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা ‘ধ্বংস’ হয়েছে। মার্কিন এই কর্মকর্তা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে চালানো হামলাকে ‘সাহসী অভিযান’ উল্লেখ করে প্রশংসা করেছেন।
সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, আমরা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি অন্তত এক থেকে দুই বছর পেছাতে সক্ষম হয়েছি। গোয়েন্দা প্রতিবেদনেও এমনটাই বলা হয়েছে।
গত ২১ জুন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র বি-২ স্টেলথ বোমারু বিমান থেকে বাংকার বাস্টার বোমা হামলা চালায়। এরপর থেকে ট্রাম্প বারবার বলে আসছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এমনভাবে ধ্বংস হয়েছে, যা এর আগে কেউ দেখেনি।
তবে গত মাসে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে ফাঁস হওয়া মার্কিন গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের হামলা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির মূল উপাদানগুলোকে ধ্বংস করতে ব্যর্থ হয়েছে, কেবল কয়েক মাসের জন্য কর্মসূচি পিছিয়েছে মাত্র। ইরান নিজেও এ নিয়ে খুব বেশি কিছু জানায়নি।
ইরানের কয়েকজন কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের হামলায় পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি গত সপ্তাহে বলেন, ট্রাম্প এই হামলার প্রভাব ‘বাড়িয়ে দেখাচ্ছেন।’
ডিএম /সীমা