সেপ্টেম্বরে ফিফা উইন্ডোতে বাংলাদেশ দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে। বাংলাদেশের সেই দুটি ম্যাচের প্রতিপক্ষ নেপাল। আজ দুপুরে অল নেপাল ফুটবল এসোসিয়েশন তাদের ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইটে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে ৬ ও ৯ সেপ্টেম্বর ম্যাচ দুটি অনুষ্ঠিত হবে।
বাফুফে সেপ্টেম্বর উইন্ডোতে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলকে ইউরোপের দলের বিপক্ষে খেলাতে চেয়েছিল। সেপ্টেম্বর উইন্ডোতে অধিকাংশ বিশ্বকাপ বাছাই এবং অন্য দেশগুলোর প্রতিপক্ষ আগেই নির্ধারিত হওয়ায় এশিয়ায় মনোনিবেশ করে বাফুফে।
এশিয়ার অনেক দেশের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করলেও শেষ পর্যন্ত নেপাল-শ্রীলঙ্কায় ম্যাচ খেলার বিষয়ে এগিয়ে ছিল। শ্রীলঙ্কা কলম্বোতে ভুটানের বিপক্ষে খেলবে। নেপাল বাংলাদেশের পক্ষে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করায় বাফুফে রাজি হয়েছে। নেপাল ফুটবল ফেডারেশন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেও বাফুফে এখনো কিছু জানায়নি।
বাংলাদেশের এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের পরবর্তী ম্যাচ ঢাকায় ৯ অক্টোবর হংকংয়ের বিপক্ষে। হংকংয়ের ফিফা র্যাংকিং ১৫৩। উঁচু সারির দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রস্তুতি সারবে ১৭৩ র্যাংকিংয়ে থাকা নেপাল ম্যাচ দিয়ে। এমন প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের কতটুকু উন্নতি বা কার্যকর হবে সেটাই প্রশ্ন।
বাংলাদেশ পুরুষ দলের কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিপক্ষই বরাবর বেছে নেন। ১০ জুন ঢাকায় সিঙ্গাপুর ম্যাচের আগে বাংলাদেশ ভুটানের বিপক্ষে খেলেছিল। সেই ম্যাচে ২-০ গোলে জেতে তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছিলেন বাফুফে কর্তারা ও কোচ। ১০ জুন সিঙ্গাপুর ম্যাচে প্রকৃত বাস্তবতা টের পেয়েছে।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের র্যাংকিং ১২৮। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে তারা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে জর্ডান, ইন্দোনেশিয়ার মতো ৩০-৫০ ধাপ এগিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে। এর ফলাফল হাতেনাতে পেয়েছে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাহরাইন ও মিয়ানমারকে হারিয়ে। যারা র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ এগিয়ে ছিল।
নারী ফুটবল দল যেখানে এগিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে খেলছে প্রতিনিয়ত। সেখানে উল্টো পথে পুরুষ ফুটবল দল। কোচ ক্যাবরেরা ও বাফুফে ঘুরে ফিরে প্রীতি ম্যাচের জন্য মালদ্বীপ, ভুটান ও নেপালকে পায়। দক্ষিণ এশিয়ার গণ্ডির বাইরে খুব একটা যান না কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা।
ডিএম /সীমা