পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহ পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) কে সতর্ক করে বলেছেন, বিক্ষোভে যেই অংশ নেবে তাকেই আটক করা হবে। বুধবার (৯ জুলাই) সামা টিভির ‘রেড লাইন উইথ তালাত হুসেন’ অনুষ্ঠানে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
পিএমএল-এন নেতা জোর দিয়ে বলেন, ‘পাকিস্তান সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং অস্থিতিশীলতা রোধে সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ’
রানা সানাউল্লাহ বলেন, ‘পিটিআইয়ের আগের বিক্ষোভগুলো শান্তিপূর্ণ ছিল না। তারা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের কথা বলে, কিন্তু তারা জানে না কীভাবে এটি পরিচালনা করতে হয়। ’ যদিও পিটিআই ভিন্ন দাবি করে।
সানাউল্লাহ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ইতোমধ্যেই পিটিআইকে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, এমনকি প্রয়োজনে স্পিকারের চেম্বারে তাদের সঙ্গে সাক্ষাতেরও প্রস্তাব দিয়েছেন। ’
পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে ‘৬ বাই ৮’ কক্ষে আটকে রাখার বিষয়ে সানাউল্লাহ বলেন, ‘এ ধরনের দাবি বিভ্রান্তিকর। কারাগার হলো কারাগার। সংজ্ঞানুযায়ী, আটক ব্যক্তি একজন বন্দি।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘যদি পিটিআই সহিংস কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করে, তাহলে সরকারের হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা আছে। কেউ কারাগারের আড়ালে থেকে কীভাবে প্রতিবাদ আন্দোলন পরিচালনা করতে পারে? যারা তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখে তারা এর পরিণতি ভোগ করবে। ’
প্রতিবাদ আন্দোলনকে ‘বোকামি’ অভিহিত করে তিনি বলেন, বিদ্যমান পরিস্থিতি এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করে না।
প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘কেপি (খাইবার পাখতুনখোয়া) সরকারের ছায়ায়, কয়েকটি সমাবেশ হতে পারে। কিন্তু অন্যত্র, উল্লেখযোগ্য জনসমাগম দেখা যাবে না। ’
পৃথকভাবে, বুধবার সানাউল্লাহ ইসলামাবাদে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম-ফজল (জেইউআই-এফ) প্রধান মাওলানা ফজলুর রেহমানের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। এ সময় ফেডারেল মন্ত্রী আমির মুকামকে নিয়ে সানাউল্লাহ বর্তমান রাজনৈতিক ঘটনাবলী নিয়ে আলোচনা করেন।
এছাড়া বৈঠকে আকরাম খান দুররানি, মাওলানা লুৎফ-উর-রেহমান, সিনেটর কামরান মুর্তজা, সিনেটর মাওলানা আত্তা-উর-রেহমান এবং মাওলানা আসাদ মেহমুদও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোয়া (কেপি) এর আসন্ন সিনেট নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সূত্র: সামা টিভি
ডিএম /সীমা