ভারতের গুরগাঁওয়ে ২৫ বছর বয়সি টেনিস খেলোয়াড় রাধিকা যাদবকে গুলি করে হত্যা করেছেন তার বাবা দীপক যাদব। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে তাদের নিজ বাড়িতে।
রাধিকা একসময় আইটিএফ একক ও দ্বৈত সার্কিটে খেলেছেন। পরে তিনি গুরগাঁওয়ে নিজের একটি টেনিস একাডেমি চালু করেন এবং কোচ হিসেবে কাজ করতেন।
গুরগাঁও পুলিশ জানায়, শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে খবর পান যে গুলিবিদ্ধ এক তরুণীকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে রাধিকাকে না পেয়ে তার কাকা কুলদীপ যাদবকে পান।
রাধিকার কাকার অভিযোগের ভিত্তিতে গুরগাঁও সেক্টর ৫৬ থানায় হত্যা মামলার এফআইআর দায়ের করা হয়। এতে বলা হয়, দীপক যাদব তার মেয়ের একাডেমি চালানো নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষুব্ধ ছিলেন।
আইটিএফ ওয়েবসাইট অনুযায়ী, রাধিকা তার ক্যারিয়ারে ৩৬টি একক ও ৭টি দ্বৈত ম্যাচ খেলেছেন। সর্বশেষ একক ম্যাচ খেলেন মার্চ ২০২৪-এ এবং দ্বৈত ম্যাচ ২০২৩ সালের জুনে।
পুলিশ জানায়, স্থানীয় মানুষজন দীপককে তার মেয়ের আয়ে নির্ভর করার কারণে নানা কটূক্তি করত। সে কারণেই তিনি রাধিকাকে একাডেমি বন্ধ করার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন।
থানা ইনচার্জ বিনোদ কুমার দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘তিনি (দীপক) অনেক দিন ধরেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। লোকজন বারবার বলত, মেয়ের টাকায় ঘর চলছে, তিনি কিছুই করেন না। এটা সহ্য করতে না পেরে মেয়েকে বারবার নিষেধ করেছিলেন একাডেমি বন্ধ করতে। কিন্তু রাধিকা রাজি হননি।’
পুলিশ জানায়, দীপকের আয়ের উৎস ছিল ছোটখাটো দুটি বাড়ি থেকে পাওয়া ভাড়া। এনডিটিভিজানায়, দীপক পুলিশকে তার দোষ স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি পিছন থেকে তিনবার গুলি করেছি, কারণ সে আমার কথা শুনেনি, একাডেমি বন্ধ করেনি।’