রাজধানীর রমনা মডেল থানা এলাকার একটি ভবনের ৮ তলা থেকে সুফিয়া আক্তার (১০) নামে এক শিশু গৃহকর্মী ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৪ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সুফিয়া আক্তার সুনামগঞ্জ জেলা কাউকান্দি চাহেরপুর থানার ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের মো. জালাল উদ্দিনের মেয়ে। বর্তমানে রমনা থানার ইস্পাহানী কলোনির ওয়াইসিস আবাসিক এলাকার ৬০৮/বি ৮ম তলায় থাকতো।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আমরা খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৪টার দিকে ৬০৮/বি ইস্পাহানী কলোনির ৮ তলা ভবনের বাথরুমের ঝরনার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় পান। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সকাল ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, ওই বাসার গৃহকর্তা এবং গৃহকর্ত্রী কক্সবাজারে বেড়াতে গেছেন। তার বাসায় সুফিয়া আক্তার ছাড়াও আরও দুইজন গৃহকর্মী রয়েছেন। প্রতিদিনের মতো তারা তিনজন একসঙ্গে ঘুমিয়ে পড়েন। কিন্তু রাতের কোনো এক সময় সবার অগোচরে বাথরুমের ঝর্ণার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে থাকে সুফিয়া আক্তার। পরে পুলিশে খবর দিলে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
প্রাথমিকভাবে যাচাই বাছাই করে দেখেছি ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তবে কি কারণে সে গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে বিষয়টি প্রাথমিকভাবে জানা যায়নি। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলের মর্গে রাখা হয়েছে। এই বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান ওসি।
ডিএম /সীমা