36482

08/17/2025 ইমামের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মারধর, গর্ভেই মারা গেল সন্তান

ইমামের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মারধর, গর্ভেই মারা গেল সন্তান

জেলা সংবাদদাতা, সাতক্ষীরা

১৬ আগস্ট ২০২৫ ১৩:২৪

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে এক ইমামের পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে ওই ইমামের স্ত্রীকে নারীকে মারধর করা হয়। এতে গর্ভেই তার সন্তান মারা যায়। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীর স্বামী।

গত ৯ আগস্ট আশাশুনির আনুলিয়া ইউনিয়নের বল্লপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আর বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাতে মৃত সন্তান প্রসব করেন ওই নারী। একই দিন রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ইমাম হাফেজ রফিকুল ইসলাম। অভিযোগের পরই পুলিশ মা ও মৃত সন্তানকে উদ্ধার করে। বর্তমানে ভুক্তভোগী নারী আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। আর মৃত নবজাতকের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরায় পাঠানো হয়েছে।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম রাধাবল্লভপুর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে আগে থেকেই আসামিরা রফিকুল ও তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে হয়রানি, ক্ষয়ক্ষতি, অত্যাচার, নির্যাতন, মিথ্যা অপবাদ দেওয়াসহ হুমকি দিয়ে আসছে। গত ৯ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় চারজনসহ আরও কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তি রফিকুলের বাড়িতে ঢুকে গালিগালাজ শুরু করে। তখন বাড়িতে ছিলেন রফিকুলের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী হালিমা (৩৭)। গালিগালাজ বন্ধ করতে অনুরোধ করায় আসামিরা লোহার রড, জিআই পাইপ, হাতুড়ি ও বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে তাকে।

মারধরের এক পর্যায়ে হালিমার তলপেটে লাথি ও পাইপের আঘাত লাগে। গুরুতর জখমের কারণে গর্ভপাত হয়ে যায়, পাঁচ মাসের সন্তান জন্মের আগেই মারা যায়। এ সময় হামলাকারীরা স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা লুট করে এবং ঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে। মাকে বাঁচাতে গিয়ে মারধরের শিকার হয় রফিকুলের আরেক মেয়ে নাইমাকেও মারধর করা হয়।

অভিযোগে আরও বলা হয়, খবর পেয়ে দ্রুত বাড়িতে যান রফিকুল। পরে স্ত্রীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। পরে গত ১৪ আগস্ট রাতে একটি মৃত ছেলে সন্তান প্রসব করেন হালিমা।

ইমাম রফিকুল বলেন, মৃত সন্তান প্রবসের পর আমি থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ আমার বাড়িতে আসে। ওই দিন রাত ১১টার দিকে হালিমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পাশাপাশি মৃত নবজাতককে পুলিশ নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে আশাশুনি থানার ওসি শামসুল আরেফিন বলেন, লিখিত অভিযোহ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]