36605

08/18/2025 ভারতে উদ্ধার বাংলাদেশি কিশোরী, নেপথ্যে আন্তঃদেশীয় মানব পাচার চক্র

ভারতে উদ্ধার বাংলাদেশি কিশোরী, নেপথ্যে আন্তঃদেশীয় মানব পাচার চক্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৮ আগস্ট ২০২৫ ১১:৪৮

বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তেলেঙ্গানার হায়দরাবাদে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে সেখানকার পুলিশ।

ঘটনাটি বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সক্রিয় আন্তঃদেশীয় মানব পাচার চক্রের বিষয়টিকে ফের নতুন করে আলোচনায় নিয়ে এসেছে। খবর, তেলেঙ্গানা টুডে’র।

দক্ষিণী এ রাজ্যটিতে বাংলাদেশি নারী উদ্ধারের ঘটনা এটিই প্রথমবার নয়। খাইরতাবাদ, চাদেরঘাট ও বান্দলাগুডার বিভিন্ন যৌনপল্লি থেকে এর আগে একাধিকবার তাদের উদ্ধার করেছে সেখানকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

মূলত চলতি শতাব্দীর প্রথম দশকের একেবারে শুরু থেকেই (২০০০-০১) সংঘবদ্ধ মাফিয়াদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এসব যৌনপল্লিতে আটকে পড়া নারীদের উদ্ধার করছে পুলিশ। শুধু বাংলাদেশ থেকেই নয়, উজবেকিস্তান, রাশিয়া, ইউক্রেন, শ্রীলঙ্কা ও নেপাল থেকেও নারীদের এনে এই পেশায় নামানো হচ্ছে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একজন কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ থেকে পাচারের ক্ষেত্রে, পাচারের শিকার নারীরা সীমান্তে এজেন্টদের সাহায্য নিয়ে স্থল বা নৌপথে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে। ভারত ও বাংলাদেশে থাকা পাচার চক্রের হোতাদের নেটওয়ার্ক খুবই শক্তিশালী। তারা দালাল ও অন্যদের অর্থের ব্যবস্থা করে থাকে।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলে চরম দারিদ্র্য রয়েছে। শিকার বা মাছ ধরার ছদ্মবেশে এজেন্টরা অসহায় নারী বা কিশোরীদের খুঁজে বের করে। এরপর তাদেরকে ভালো জীবিকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভারতে আসতে প্ররোচিত করে। ভারতে আসার পর স্থানীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে তাদেরকে বিভিন্ন শহরে পাঠিয়ে দেয়া হয় যেখানে এই পেশায় তাদের বাধ্য করা হয় কাজ করতে।

রাজ্য পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, দারিদ্র্যের কারণে বাংলাদেশ থেকে পুরুষ, নারী ও শিশুরা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে। ধরা না পড়া পর্যন্ত তারা নিজেদের বাঙালি পরিচয় দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।

দেশটির কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ বোর্ড (সিএসডব্লিউবি) পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ভারতে বাণিজ্যিক যৌনশোষণের শিকার হওয়া নারীদের মধ্যে ২ দশমিক ৭ শতাংশই বাংলাদেশের নাগরিক। বাংলাদেশ থেকে পাচার নারীদের কলকাতা, দিল্লি, হায়দরাবাদ, মুম্বাইসহ বিভিন্ন শহরে দালালদের কাছে বিক্রি করা হয়।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]