ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়লেও কমেছে বাজার মূলধন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বড় মূলধনের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম কমে যাওয়ায় বাজারে মূলধন কমে গেছে।
যদিও এই পতনের মধ্যেও মূল্য সূচক ও লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। এ নিয়ে টানা দুই সপ্তাহ ধরে ডিএসই’র বাজার মূলধন কমছে, যা এর আগে টানা নয় সপ্তাহ বৃদ্ধির পর ঘটল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৪১টি শেয়ারের দাম বেড়েছে, যেখানে দাম কমেছে ১২৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৪টির। তা সত্ত্বেও, ডিএসই’র বাজার মূলধন ৩ হাজার ৫০২ কোটি টাকা বা ০.৪৯% কমেছে। যার ফলে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৮ হাজার ১৮১ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৭ লাখ ১১ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহেও বাজার মূলধন ৩ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা কমেছিল।
ঈদুল ফিতরের পর থেকে টানা আট সপ্তাহ পতনের পর শেয়ারবাজার ঈদুল আজহার আগে ঘুরে দাঁড়ায়। সেই সময়ে ডিএসই’র বাজার মূলধন ৬৮ হাজার ৯৫ কোটি টাকা বেড়েছিল। এরপর দুই সপ্তাহে মোট ৬ হাজার ৮৯৮ কোটি টাকা কমেছে।
তবে বাজার মূলধন কমলেও, গত সপ্তাহে মূল্য সূচকে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে। ডিএসই’র প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ২৪.৭১ পয়েন্ট বা ০.৪৬% বেড়েছে। একইভাবে, বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ১৫.৬২ পয়েন্ট বা ০.৭৫% এবং শরিয়াহ্ভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ১৭.১৭ পয়েন্ট বা ১.৪৮% বেড়েছে।
এদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের গতিও বেড়েছে। সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৯০৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৬৮৯ কোটি ১৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ২১৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বা ৩১ দশমিক ৬২ শতাংশ।
এ সপ্তাহে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের শেয়ার। এই কোম্পানির শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, যা মোট লেনদেনের ৩ দশমিক ৭১ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা। প্রতিদিন গড়ে ২৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ইনফিউশন।