তরুণ এক উপদেষ্টার হাঁস খাওয়ার ঘটনা নিয়ে সারাদেশ এবং সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়। এ নিয়ে একাধিক অনুষ্ঠানে কথা বলতে শোনা গেছে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীকেও। ইস্যুটি নিয়ে ফের একবার খোঁচা মারলেন তিনি।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বললেন, ‘এই মুহূর্তে দেশে যদি দুর্ভিক্ষ আসে, তবে অন্তর্র্বতী সরকারের উপদেষ্টারা দুয়েক জায়গায় গিয়ে হাঁস খেতে পারলেও জনগণ পারবে না।’
রোববার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জিয়া পরিষদের পক্ষ থেকে রিকশা ও ভ্যানগাড়ি চালকদের মাঝে রেইনকোট বিতরণ অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন তিনি।
৫ আগস্টের পর যে অর্জন এসেছে, তা ধরে রাখার আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘ছোটখাটো বিষয়ে মতানৈক্য তৈরি করে ১৫-১৬ বছরের দুর্বিষহ দিন যেন ফিরে না আসে।’
হাসিনার পরিবারের রাজত্বের পুনরাবৃত্তি হতে না দিতে চাইলে সব দলের ভেতর ঐক্য থাকা দরকার বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।
রিজভী বলেন, ‘অন্তর্র্বতী সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। সরকারের আন্তরিকতার অভাব আছে তা নয়। দ্রব্যমূল্য কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও কর্মসংস্থান তৈরি হয়নি। দিন দিন কলকারখানা সব বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।’
কর্মসংস্থান না থাকলে দুর্ভিক্ষের আলামত তৈরি হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আপনাদের উপদেষ্টারা দুয়েক এক জায়গায় হাঁস খেতে পারবেন, যেকোনো জায়গায়। কিন্তু জনগণ তো পারবে না। মানুষের ক্ষুধার সঙ্গে রাজনীতি করা যাবে না। কর্মসংস্থান যেন ঠিক থাকে, সেই প্রচেষ্টা সরকারকেই করতে হবে।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘জুলাই সনদের ব্যাপারে সুপারিশ আসবে। সেখানে যদি আইন সংশোধন করতে হয়, সংবিধান সংশোধন করতে হয়, সেটা নির্বাচিত সংসদ করবে।’
তিনি বলেন, ‘একটি দল বলছে আগেই গণভোট দিতে হবে, কেন? যদি সংবিধানের মূল নীতিমালায় কোনো পরিবর্তন করতে হয়, তা করবে নির্বাচিত সরকার।’
সরকার যদি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারে তাহলে নির্বাচন হুমকির মধ্যে পড়বে বলেও মন্তব্য করেন রিজভী।
ডিএম/রিয়া