তরুণ প্রজন্মকে অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি থেকে রক্ষায় এবং একটি সুস্থ-সবল বাংলাদেশ গড়তে শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন চূড়ান্ত করার আহ্বান জানিয়েছে জনস্বাস্থ্য উন্নয়নকর্মীরা।
রবিবার (২৪ আগস্ট) সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসির সিনিয়র প্রজেক্ট অ্যান্ড কমিউনিকেশন অফিসার ইব্রাহীম খলিলের পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি ৩৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ যৌথভাবে অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে যে ঘোষণা স্বাক্ষর করেছে, সেটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। প্রতিবছর দেশে তামাকজনিত রোগে প্রাণ হারায় ১ লাখ ৬১ হাজারেরও বেশি মানুষ। পাশাপাশি প্রায় ১৫ লাখ মানুষ ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ফুসফুসজনিত জটিলতা ও ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়। ২০১৮ সালে তামাকজনিত রোগের চিকিৎসা ব্যয় দাঁড়ায় প্রায় ৩০ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। এ ব্যয়ভার মেটাতে প্রতিবছর প্রায় ৪ লাখ মানুষ দরিদ্র হয়ে পড়ছে।
আরও বলা হয়, তামাক কোম্পানিগুলো মুনাফার স্বার্থে কিশোর-তরুণদের লক্ষ্য করে বিপণন করছে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ভয়াবহ ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কিন্তু সরকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো জনস্বার্থে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। তামাকের কারণে শুধু জনস্বাস্থ্য নয়, পরিবেশ ও কৃষিও হুমকির মুখে পড়ছে। তাই রাজস্বের তুলনায় জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তাকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে।
ডিএম/রিয়া
বিবৃতিতে প্রত্যাশা জানিয়ে বলা হয়, তামাক কোম্পানির অপতৎপরতা প্রশ্রয় না দিয়ে সব মন্ত্রণালয় একযোগে কাজ করবে। পাশাপাশি, তামাকের কারণে অকালমৃত্যু, দারিদ্র্য ও পরিবেশ ধ্বংসের দায়ে কোম্পানিগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।