আপেল সবার প্রিয় ফল। তবে জানেন কি? এই আপেল ফলও জীবন কেড়ে নিতে পারে আপনার। কারণ আপেলের বীজে আছে বিষ। অ্যামিগডালিন ধারণ করে সায়ানাইড এবং চিনির সমন্বয়ে গঠিত একটি সায়ানোজেনিক গ্লাইকোসাইড।
যখন পরিপাকতন্ত্রে বিপাক হয়, তখন এই রাসায়নিকটি অত্যন্ত বিষাক্ত হাইড্রোজেন সায়ানাইডে (এইচসিএন) পরিণত হয়। এইচসিএনের একটি প্রাণঘাতী ডোজ কয়েক মিনিটের মধ্যে মারা যেতে পারে।
চিকিৎসকরা প্রতিদিন একটি আপেল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। অনেক সময়ে আপেলের সঙ্গে তার ভেতরের বীজগুলোও পেটের মধ্যে চলে যায়। এখন প্রশ্ন হলো— আপেলের বীজ কতটা ক্ষতিকারক?
পরীক্ষা করে দেখা গেছে, আপেলের বীজে ‘বিষ’। বীজের মধ্যে অ্যামিগডালিন নামক যৌগ, যা হজমের সময় ভেঙে হাইড্রোজেন সায়ানাইড তৈরি হয়। সায়ানাইড অবশ্যই বিষ। তা থেকে দেহে বিষক্রিয়া সৃষ্টি হয়। আর সায়ানাইড হার্ট ও মস্তিষ্ককে অচল করে দেয়। তা থেকে কোমায় চলে যাওয়া— এমনকি মৃত্যুও ঘটতে পারে।
চিকিৎসকরা বলেছেন, আপেলের বীজ খুব বেশি পরিমাণে না খেলে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আপেলের বীজ থেকে কোনো ব্যক্তির দেহে বিষক্রিয়া তৈরির জন্য তাকে এক কাপ বীজ খেতে হবে। সাধারণত সে রকম ঘটনা অস্বাভাবিক। এর অর্থ এই যে, আপনি ইচ্ছাকৃত আপেলের বীজ খাবেন, তা ঘটে যেতে পারে বিপজ্জনক ঘটনা।
চিকিৎসকরা বলছেন, গোটা আপেল খেলে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কারণ আপেলের খোসায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকে। তবে ভেতরের বীজ বাদ দিয়ে আপেল খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করা উচিত। কারণ ভুলবশত বীজ খেয়ে ফেললেও তা থেকে কোনো বড় সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
ডিএম/রিয়া