ফরিদপুরের ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেজিস্ট্রার ডা. এস. এম তাইফুর হুসাইনের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম এবং জেনারেল সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. মো. মাহমুদ হোসেন।
রোববার (২৪ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতারা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, চিকিৎসকদের কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া ব্যাহত হবে। এনডিএফ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, এ ধরনের হামলা স্বাস্থ্যখাতের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করে এবং চিকিৎসকদের মনোবল ভেঙে দেয়।
নেতৃবৃন্দ সরকার ও প্রশাসনের কাছে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, হামলাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এনডিএফের প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।
চিকিৎসক-নার্সদের লিফট থেকে নামতে বলায় হামলা
গত ২০ আগস্ট সন্ধ্যায় হাসপাতালের নতুন বহুতল ভবনে লিফটে ১১তলা থেকে নামছিলেন রেজিস্ট্রার ডা. এস এস তাইফুর হুসাইন। সাততলায় আসার পর ওই লিফটে অনেক চিকিৎসক ওঠেন। জায়গার অপর্যাপ্ততার কারণে চিকিৎসক ও নার্সদের নির্ধারিত লিফট থেকে শামীম হোসেন (২৫) নামে এক যুবককে নামতে বললে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে নেমে যান।
পরে রাত ৮টার দিকে ডা. তাইফুর হুসাইন নিচে গেলে শামীম হোসেনের নেতৃত্বে তার ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালানো হয়। তাকে চড়-থাপ্পড়, কিলঘুষিসহ এলোপাতাড়ি মারধর করেন কয়েকজন। খবর পেয়ে সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। এই হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালের সামনে মানববন্ধন করেন কর্মরত চিকিৎসক ও কলেজের শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে চিকিৎসকরা বলেন, হামলাকারীদের মধ্যে শামীম ও হৃদয় নামের দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন তারা।
এদিকে হামলার ঘটনায় বুধবার রাতে কোতোয়ালি থানায় দুজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন হাসপাতালের পরিচালক মো. মোসলেম উদ্দিন। আসামিরা হলেন হাসপাতালের সামনে থাকা প্রীতি ফার্মেসির মালিক শামীম হোসেন (২৫) ও অর্ঘ্য ফার্মেসির কর্মচারী হৃদয় হোসেন (২৩)।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদউজ্জামান বলেন, জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ডিএম/রিয়া