দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ (বুধবার) সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন এক্সচেঞ্জটির তিনটি সূচক কমেছে। তবে দিনভর ছিল বিক্রেতার চাপ। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ক্রেতা না পাওয়ায় লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ সিকিউরিটিজের বাজারদর কমেছে। আর সার্বিকভাবে লেনদেন কমেছে।
এদিন টানা তিন কার্যদিবস পর হাজার কোটা টাকার কম লেনদেন হয়েছে। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমলেও লেনদেন সামান্য বেড়েছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৪৪৩ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। আগের দিনশেষে সূচকটির অবস্থান ছিল ৫ হাজার ৪৪৮ পয়েন্টে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১১৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের দিন শেষে সূচকটি ২ হাজার ১২৩ পয়েন্টে ছিল। এ ছাড়া, ডিএসই শরিয়াহ সূচক প্রায় ২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৮৯ পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। আগের কর্মদিবস শেষে সূচকটি এক হাজার ১৯০ পয়েন্টে ছিল।
বুধবার (২৭ আগস্ট) ডিএসইর লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ১৫৮টির। বিপরীতে কমেছে ১৭৪টির। তবে ৬২টির দর অপরিবর্তিত ছিল।
এক্সচেঞ্জটিতে আজ মোট ৯৭১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। আগের দিন ১ হাজার ২৪৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল, যা গত বছরের ১১ আগস্টের পর সর্বোচ্চ। গত রোববার ও সোমবার এক্সচেঞ্জটিতে যথাক্রমে ১ হাজার ২০০ কোটি ২৬ লাখ এবং ১ হাজার ১৭৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়।
লেনদেন বাড়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে সিটি ব্যাংকের শেয়ার। কোম্পানিটির ২২ কোটি ৪৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। গতকালও ৪২ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হওয়ার মাধ্যমে ব্যাংকটি ডিএসইতে লেনদেন বৃদ্ধিতে সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখেছিল।
অন্য পুঁজিবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই আজ ৪১ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট কমেছে। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৪৩ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১০৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৫টির এবং ৩২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ১৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১৫ কোটি ১ লাখ টাকা।