ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত দফায় দফায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রুশ বাহিনী। এতে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৪ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ৩৮ জন।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর রাজধানী ইউনিটের শীর্ষ কমান্ডার তাইমুর তাকাচেঙ্কো বিবিসিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা জানিয়েছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় কিয়েভে রুশ বাহিনীর হামলার নিন্দা জানিয়ে পোস্ট করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কিও। বৃহস্পতিবার এক এক্সবার্তায় তিনি বলেছেন, “আলোচনার টেবিলের পরিবর্তে রাশিয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে বেছে নিয়েছে, যুদ্ধ শেষ করার পরিবর্তে তারা হত্যা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় কিয়েভের ১৩টি এলাকায় আবাসিক ও অন্যান্য ভবন আংশিক বা সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল থেকে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে ইউক্রেনের দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তরের উদ্ধারকারী দল। ধ্বংস্তূপের তলায় এখনও কয়েক জন চাপা পড়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত কিয়েছে ৫৯৮টি ড্রোন এবং ৩১টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রুশ সেনারা। এগুলোর মধ্যে ৫৬৩টি ড্রোন এব্ং ২৬টি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
“দুর্ভাগ্যবশত, রাশিয়ার আক্রমণের ধরণ গতানুগতিক। বরাবরই তার বিভিন্ন দিক থেকে সম্মিলিতভাবে হামলা চালায়। গতকাল তারা কিয়েভের আবাসিক ভবনগুলোকে লক্ষ্য করে এই পদ্ধতিতে হামলা চালিয়েছে”, রয়টার্সকে বলেছেন তাইমুর তাকাচেঙ্কো।