১৯৭৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ইঞ্জিনিয়ার মার্টিন কুপার প্রথম মোবাইল ফোন আবিষ্কার করেন। এজন্য তাকেই বিশ্বব্যাপী মোবাইল ফোনের জনক বলা হয়। তখন তিনি ছোট্ট টেলিকম কোম্পানি মটোরোলাতে কর্মরত ছিলেন।
সেই সময় তার তৈরি করা মোবাইল ফোনের ওজন ছিল প্রায় এক কেজির মতো এবং সেটি দিয়ে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট কথা বলা যেত। কিন্তু এই আবিষ্কারই আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসে।
জীবনী
মার্টিন কুপারের জন্ম ১৯২৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়িস অঙ্গরাজ্যের শিকাগো শহরে। ছোটবেলা থেকেই তিনি প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের প্রতি আগ্রহী ছিলেন। ইলিনয়িস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (আইআইটি) থেকে তিনি ১৯৫০ সালে স্নাতক এবং ১৯৫৭ সালে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পরবর্তীতে ২০০৪ সালে একই প্রতিষ্ঠান তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে।
শিক্ষাজীবন শেষে কোরিয়ার যুদ্ধে মার্কিন নৌবাহিনীর সংরক্ষিত বাহিনীতে সাবমেরিন অফিসার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
কর্মজীবন
১৯৭০-এর দশকে মটোরোলায় কাজ করার সময়ই কুপার হাতে-ধরা মোবাইল ফোন তৈরি করেন এবং প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে এটি ব্যবহার করেন। পরবর্তীতে এর বাজারজাতকরণের মাধ্যমে মোবাইল ফোন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। সেই থেকেই তিনি ‘মোবাইল ফোনের জনক’ হিসেবে স্বীকৃতি পান।
ব্যক্তিগত জীবন
মার্টিন কুপার বিয়ে করেছেন আর্লিন হ্যারিসকে, যিনি প্রযুক্তি জগতে ‘তারবিহীন মোবাইলের ফার্স্ট লেডি’ হিসেবে পরিচিত। দম্পতি একসাথে একাধিক যোগাযোগভিত্তিক কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছেন।
স্বীকৃতি ও অবদান
মার্টিন কুপারের নামে রয়েছে মোট ১১টি মেধাস্বত্ব। তিনি শুধু মোবাইল ফোনের আবিষ্কারক নন, বরং আধুনিক বেতার যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম পথিকৃৎ হিসেবেও বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। তার আবিষ্কারের কারণেই আজকের দিনে মোবাইল ফোন মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশে পরিণত হয়েছে।