এক সময় দক্ষিণী চলচ্চিত্রে তাঁর ঝলমলে উপস্থিতি মুগ্ধ করত সিনেমাপ্রেমীদের। রজনীকান্ত ও কমল হাসানের মতো সুপারস্টারদের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন।
অভিনয় জীবনে শুধুমাত্র তামিল সিনেমা নয় কাজ করেছেন মালায়ালাম ও তেলেগু ইন্ডাস্ট্রিতে। বলছি দক্ষিণী অভিনেত্রী নিশা নূরের কথা। তবে জীবনের শেষটা কেটেছে অকল্পনীয় দুর্দশা ও নিঃসঙ্গতায়। অর্থ জোগান দিতে দেশ ব্যবসায় নাম লেখান এই অভিনেত্রী।
নিশার অভিনয় জীবন শুরু হয় ১৯৮০ সালে ‘মঙ্গলা নায়াগি’ ছবির মাধ্যমে। এরপর ‘টিক টিক টিক’, ‘আইয়ার দ্য গ্রেট’, ‘চুভাপ্পু নাদা’, ‘ইনিমাই ইধো ইধো’ সহ একাধিক ছবিতে অভিনয় করে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এক সময় তিনি দক্ষিণের নামী পরিচালকদের সাথেও কাজ করেছেন।
কিন্তু ১৯৮৬ সালের পর কাজের অফার কমতে শুরু করে। নব্বই দশকে তিনি পুরোপুরি আলো থেকে অন্ধাকারে হারিয়ে যান। অর্থ অভাবে চরম কষ্টে দিন কাটতে থাকে। ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি, অর্থ অভাবে পড়ে এক প্রযোজকের প্ররোচনায় তিনি দেহ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন।
পতিতাবৃত্তি পেশায় আসার পর তাঁর জীবনে নেমে আসে আরও বড় বিপর্যয়। নিশা আক্রান্ত হন মরণব্যাধি এইচআইভি-এইডসে। অসুস্থতা, নিঃসঙ্গতা আর সমাজের অবহেলায় ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন। বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়রা পর্যন্ত মুখ ফিরিয়ে নেয়।
২০০৭ সালে চেন্নাইয়ের তাম্বারামের একটি দরগার সামনে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিস্থিতি এমন ছিল যে মৃত্যুর পরেও যন্ত্রণা কমেনি। অভিনেত্রীকে যখন উদ্ধার করা হয় তখন তাঁর শরীরে পোকামাকড় কুরেকুরে খাচ্ছিল। মাত্র কয়েক দিনেই তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে যান।