কখনো কি এমনটা ঘটেছে যে আপনি ঘুমিয়েছেন। হঠাৎ ঘুমের ঘোরেই শরীরে ঝাঁকুনি সৃষ্টি হলো আর আপনি লাফিয়ে উঠে মুহূর্তের জন্য জেগে ওঠেছেন? কিংবা জেগে না উঠলেও কাঁপুনি অনুভব করেছেন?
শরীরে ঘটা এই চমকপ্রদ প্রতিক্রিয়াকে হিপনিক জার্ক বলা হয়। এটি আমাদের ধারণার চেয়েও বেশি সাধারণ। এটি একটি আকস্মিক ও সংক্ষিপ্ত অনিচ্ছাকৃত পেশী সংকোচন যা সাধারণত জাগ্রত অবস্থা থেকে ঘুমের দিকে যাওয়ার সময় ঘটে।
যদিও হিপনিক জার্ক স্বাভাবিক বিষয়, তবুও এটি আপনার বা আপনার সঙ্গীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যামি শাহ জানিয়েছেন, ঘুমের সময় হিপনিক জার্ক প্রতিরোধ করার জন্য ঘুমানোর আগে কী কী এড়িয়ে চলতে হবে। ঘুমানোর কমপক্ষে ৩ ঘণ্টা আগে কিছু বিষয় এড়িয়ে চলতে হবে।
ক্যাফেইন নয়:
ক্যাফেইন আমাদের বন্ধুর মতো কাজ করে। এটি একটি উদ্দীপক যা আপনাকে সজাগ ও জাগ্রত রাখে। রাতে দেরিতে খেলে এটি ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। কফি মস্তিষ্ককে জাগ্রত রাখে। তাই ঘুমানোর আগে খুব বেশি সময় ধরে কফি বা অন্য কোনো এনার্জি ড্রিংক পান করলে হিপনিক জার্কের আশঙ্কা বেড়ে যায়।
সৌদি জার্নাল অফ ইন্টারনাল মেডিসিনে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুযায়ী, কলেজের শিক্ষার্থীরা বিশেষ করে ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় ঘন ঘন খাওয়ার কারণে খারাপ ঘুমের সমস্যায় ভোগে। এটি ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে কফির প্রধান ভূমিকার সাথে সম্পর্কিত।
মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন:
মানসিক চাপ মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করে এবং অতিরিক্ত চিন্তাভাবনার কারণে ঘুমিয়ে পড়া কঠিন করে তোলে। এটি পেশিগুলোকে শিথিল হতে বাধা দেয় এবং মস্তিষ্ককে সজাগ রাখে। এতে ঘুম অস্থির হয়ে ওঠে, ঘন ঘন ঘটে হিপনিক জার্কও।
শরীর যখন শিথিল হতে লড়াই করে তখন জাগ্রত অবস্থা থেকে ঘুমে রূপান্তর কঠিন হয়ে পড়ে। তাই মানসিক চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। স্নায়ু শান্ত করার জন্য ধ্যান, জার্নালিং বা অন্য কোনও শিথিলকরণ কৌশল কাজে লাগান।
ভারী ব্যায়াম নয়:
ঘুমানোর ঠিক আগে তীব্র ও জোরালো ব্যায়াম অ্যাড্রেনালিন ও হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি করে, যা আপনার শরীরের জন্য বিশ্রাম নেওয়াকে কঠিন করে তোলে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে ব্যায়াম করলে তারপর কয়েক ঘণ্টা বিশ্রাম দিন।