40465

11/09/2025 শেখ হাসিনার রায় ঘিরে অনিরাপদ বোধ করছে না প্রসিকিউশন

শেখ হাসিনার রায় ঘিরে অনিরাপদ বোধ করছে না প্রসিকিউশন

আদালত প্রতিবেদক

৯ নভেম্বর ২০২৫ ১৪:৫৮

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের রায় ঘিরে প্রসিকিউশন অনিরাপদ বোধ করছে না বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম।

রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

তামিম বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মামলার রায়ের তারিখ নির্ধারণ হবে এ মাসের ১৩ তারিখে। এজন্য প্রসিকিউশনের প্রস্তুতির কিছু নেই। প্রসিকিউশন কোনো অনিরাপদ বোধও করছে না। আমাদের দায়িত্ব হলো ট্রাইব্যুনাল ও তদন্ত সংস্থা থেকে যেসব অভিযোগ আনা হয় সেসব প্রমাণের চেষ্টা করা, সাক্ষ্য উপস্থাপন করা ও যুক্তিতর্ক তুলে ধরা। আর ট্রাইব্যুনালের দায়িত্ব হলো যুক্তিতর্ক ও সাক্ষ্য বিবেচনায় রায় দেওয়া। এর বাইরে প্রসিকিউশনের আর কোনো দায়িত্ব নেই।

১৩ নভেম্বর রায় হবে বলেছেন একজন উপদেষ্টা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আসলে আমাদের সাধারণত যে মামলাগুলো ট্রায়াল কোর্টে বা হাইকোর্ট বিভাগে হয়, সেখানে রায়ের তারিখ নির্ধারিত থাকে যে আগামী অমুক তারিখে রায়। কিন্তু ট্রাইব্যুনালে এর আগে আমরা দেখেছি যে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ করা হয়। এবার ট্রাইব্যুনাল রায়ের দিন নির্ধারণের জন্য একটি তারিখ রেখেছেন, সেটি হলো ১৩ নভেম্বর। যারা নিয়মিত প্র্যাকটিস করেন না বা আইন-আদালতের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন, তারা হয়ত একটু ভুল বুঝেছেন। আমি পরিষ্কার করছি যে, ১৩ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামলার রায়ের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। ওই দিন রায় ঘোষণার দিন জানতে পারব আমরা।

রায়কে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের কর্মসূচিসহ রাজনৈতিক উত্তাপ নিয়ে সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে এই প্রসিকিউটর বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো কর্মসূচি গ্রহণ করবে। এর জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেবে রাষ্ট্র বা সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রসিকিউশনের সঙ্গে এই রাজনৈতিক কর্মসূচি বা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের কোনো সম্পর্ক নেই। এই পরিস্থিতিতে কোনো বাড়তি চাপ অনুভব করছে না প্রসিকিউশনতবে এখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কয়েকটি সংস্থা কাজ করছেতারাবিষয়ে যথার্থ ব্যবস্থা নেবে বলে আমরা আশা করছি

উল্লেখ্য, গত ২৩ অক্টোবর শেখ হাসিনার এ মামলার বিচারকাজ সম্পন্ন হয়। যুক্তিতর্ক শেষ হলে রায়ের দিন ধার্যের জন্য আগামী ১৩ নভেম্বর ঠিক করেন ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

ওই দিন ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজের প্রথমেই শেখ হাসিনার মামলায় সমাপনী বক্তব্য দেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রধানমন্ত্রীসহ হেভিওয়েট নেতাদের যেভাবে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছিল, সেসব বর্ণনা ট্রাইব্যুনালে তুলে ধরেন তিনি। একইসঙ্গে শেখ হাসিনা ও কামালের সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেন। পরে আসামিপক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীর যুক্তি উপস্থাপনের কয়েকটি বিষয়ে জবাব দেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এরপর তাদের কিছু কথার পাল্টা উত্তর দেন স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী আমির হোসেন।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]