এবারের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজেদের গ্রুপে ফেভারিট ছিল ইতালি। গত দুই বিশ্বকাপে খেলতে না পারা চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের গ্রুপে অন্য দল ছিল নরওয়ে, ইসরায়েল, এস্তোনিয়া ও মলদোভা। ধারণা করা হচ্ছিল, এবার সরাসরি বিশ্বকাপে উঠে যাবে তারা। কিন্তু যে দলের কাছে হার দিয়ে শুরু, সেই নরওয়ের কাছে শেষ ম্যাচ হেরে খাদের কিনারায় পড়ে গেল ইতালি। আবারো খেলতে হবে প্লে অফে। আজ্জুরিদের ভাগ্য ঝুলিয়ে রেখে ২৮ বছর পর বিশ্বকাপে উঠেছে নরওয়ে।
বাছাইয়ে অপ্রতিরোধ্য থেকে গতকাল (রোববার) বিশ্বকাপের টিকিট কাটল তারা। তাদের কাছে হেরে টানা তৃতীয়বার বিশ্বকাপ খেলতে না পারার ঝুঁকিতে ইতালি।
১৯৯৮ সালে শেষবার বিশ্বকাপে খেলেছিল নরওয়ে। বাছাইয়ের শেষ রাউন্ডে ইতালিকে ৪-১ গোলে হারিয়ে ২৮ বছর পর আবারো বিশ্বমঞ্চে তারা। এদিকে গত দুটি বিশ্বকাপে উঠতে পারেনি ইতালি। দুইবারই প্লে অফে খেলে হেরেছিল তারা। আবারো দিতে হবে প্লে অফ পরীক্ষা।
‘আই’ গ্রুপে ৮ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপের টিকিট কাটল নরওয়ে। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে থেকে প্লে অফে খেলতে হবে ইতালিকে।
ক্লাব কিংবা জাতীয় দল- দুই জার্সিতে এবার অদম্য আর্লিং হালান্ড। বাছাইয়ের এক আসরে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড ছুঁলেন তিনি। ৮ ম্যাচে ইতালির ৩৭ গোলের মধ্যে তার গোল ১৬টি। ২০১৮ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে সর্বোচ্চ ১৬ গোল করেছিলেন পোল্যান্ডের রবার্ট লেভানডোভস্কি।
ইতালিকে এদিন অন্তত ৯ গোলের ব্যবধানে জিততে হতো। ১১ মিনিটে পিও এস্পোসিতোর গোলে লিড নিয়ে বড় জয়ের আশায় বুক বেঁধেছিল তারা। প্রথমার্ধে তারা দাপট ধরে রেখেছিল।
কিন্তু বিরতির পর বদলে গেল ম্যাচের চেহারা। দুই মিনিটের মধ্যে জোড়া গোল করেন হালান্ড। তার আগে পরে নরওয়ের দুটি গোল করেন আন্তোনিও নুসা ও জর্গেন স্ট্রান্ড লারসেন।
৬৩তম মিনিটে সোরলোথের বাড়ানো বলে নুসা সমতা ফেরান। বদলি নেমে বব তার ক্লাব সতীর্থ হালান্ডকে দিয়ে ৭৮তম মিনিটে গোল করান। পরের মিনিটে থর্সভেটের ক্রসে আবার জাল কাঁপান ম্যানসিটি স্ট্রাইকার। স্টপেজ টাইমে স্ট্রান্ড ইতালির কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন।
গত জুনে ইতালির বিপক্ষে নরওয়ের ৩-০ গোলের জয়ে শেষ হয়েছিল লুসিয়ানো স্পালেত্তি অধ্যায়। তার উত্তরসূরি গেনারো গাত্তুসোকে এখন প্লে অফের প্রস্তুতি নিতে হবে।