শুধুমাত্র বড় তারকা, বিশাল বাজেট আর ব্যয়বহুল প্রচারই একটি সিনেমার সাফল্যের চাবিকাঠি নয়। বরং গল্প, চিত্রনাট্য এবং দর্শকদের ভালোবাসা এসবই শেষ কথা। চলতি বছরে এমন অনেক বিগ বাজেটের সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, যা নিয়ে ছিল আকাশছোঁয়া প্রত্যাশা। কিন্তু বক্স অফিসে ফলাফল হয়েছে ঠিক তার বিপরীত।
দুর্বল গল্প, আলগা চিত্রনাট্য এবং নেতিবাচক পর্যালোচনার কারণে সেই সিনেমাগুলো ফ্লপের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। অপ্রত্যাশিত এই ব্যর্থতার তালিকায় নাম আছে সুপারস্টার সালমান খান থেকে শুরু করে শহীদ কাপুর, এমনকি হৃতিক রোশনের মতো বড় তারকাদেরও।
বক্স অফিসে ধামাকা ঘটাবে বলে ধারণা করা হলেও, শেষ পর্যন্ত দেখা গেছে ফল হয়েছে সম্পূর্ণ উল্টো। চলুন দেখে নেওয়া যাক ২০২৫ সালের সেই ৭টি বড় সিনেমা, যা বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে।
১. সিকান্দার : বিগত কয়েক বছর ধরেই সালমান খানের বেশ কিছু সিনেমা বক্স অফিসে আশানুরূপ সাফল্য পাচ্ছে না। তবে ‘সিকান্দার’-এর ভাগ্য ছিল আরও খারাপ। বিশাল প্রচার আর হাইপ তৈরি হলেও গল্পে নতুনত্ব না থাকায় সবটাই জলে গিয়েছে। অনুমানযোগ্য প্লট এবং দুর্বল লেখনী এটিকে বছরের অন্যতম বড় ফ্লপ করে তুলেছে। ইন্ডিয়া নেট কালেকশন ১০৯.৬৪ কোটি টাকা।
২. ঠগ লাইফ : কিংবদন্তি অভিনেতা কমল হাসানের এই সিনেমাটি ছিল বছরের অন্যতম ব্যয়বহুল ফ্লপ। নেতিবাচক সমালোচনা এই বড় বাজেটের সিনেমাটিকে পুরোপুরি ডুবিয়ে দিয়েছে। যার বক্স অফিসে আয় ৪৮.১৮ কোটি টাকা।
৩. গেম চেঞ্জার : রাম চরণ এবং কিয়ারা আদভানি অভিনীত এই সিনেমাটি ধীর গতির কারণে প্রেক্ষাগৃহে কোনো ছাপ ফেলতে পারেনি। দর্শকদের মন জয় করতে ব্যর্থ হওয়ায় এটিও ফ্লপের খাতায় নাম লিখিয়েছে। ১৩১.১৭ কোটি টাকা আয় করেছে।
৪. আজাদ: মুক্তির আগে বিপুল গুঞ্জন অর্জন করলেও ‘আজাদ’ বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। দর্শকরা এর প্লটকে একঘেয়ে এবং পুরনো বলে সমালোচনা করেছেন। আমান দেবগন ও রাশা থাদানির এই প্রথম ছবি বক্স অফিসে সাফল্য দেখতে পায়নি। এ সিনেমার আয় ৮ থেকে ৯ কোটি টাকা।
৫. দেবা : মুক্তির আগে শহীদ কাপুরের ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। কিন্তু গতানুগতিক গল্প, আকর্ষণহীন ট্রেলার ও মিশ্র প্রতিক্রিয়ার কারণে সিনেমাটি দর্শকদের সেভাবে প্রেক্ষাগৃহে টানতে পারেনি। যার আয় ৩৩.৯ কোটি টাকা।
৬. ওয়ার ২ : হৃতিক রোশন এবং জুনিয়র এনটিআর-এর মতো বড় নাম থাকা সত্ত্বেও, এই ছবিটি বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়। বড় অঙ্কের ওপেনিং পেলেও, ধীরে ধীরে ছবির গতি কমে যায়। ৪০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ে তৈরি হওয়া সিনেমাটির বিশ্বব্যাপী আয় ছিল মাত্র ৩৬৫ কোটি টাকা। ক্ষতির মুখে ৪০ কোটি টাকারও বেশি।
৭. ইমার্জেন্সি : কঙ্গনা রানাওয়াতের রাজনৈতিক ড্রামা ‘ইমার্জেন্সি’ও দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। ভারতের নেট সংগ্রহ ছিল খুবই কম। ইন্ডিয়া নেট কালেকশন: ১৮.৩৫ কোটি টাকা।