ভারত জাতীয় দলে পেস বিভাগের নেতা জাসপ্রিত বুমরাহ। তবে চোট ও ওয়ার্কলোড বিবেচনায় বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাকে খুব বেছে বেছে খেলাচ্ছে টি-টোয়েন্টির ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গতকাল (মঙ্গলবার) পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে খেলতে নেমে বুমরাহ একটি রেকর্ড গড়েছেন। নাম লিখিয়েছেন এখন পর্যন্ত মাত্র ৫ বোলার নিয়ে গড়া একটি এলিট লিস্টে।
ওড়িশার কটক স্টেডিয়ামে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৭৫ রান তোলে ভারত। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্বাগতিক বোলারদের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপ। ১২.৩ ওভারে টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের সর্বনিম্ন ৭৪ রানে অলআউট হওয়ার লজ্জায় পুড়েছে সফরকারীরা। এর আগে প্রোটিয়ারা টি-টোয়েন্টিতে সর্বনিম্ন ৮৭ রানে অলআউট হওয়ার নজির ছিল। সেই ম্যাচেও প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। তিন বছর পর নিজেদের লজ্জার রেকর্ড নতুন করে লিখল এইডেন মার্করামের দল।
ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন জাসপ্রিত বুমরাহ, আর্শদীপ সিং, ভরুণ চক্রবর্তী ও অক্ষর প্যাটেল। এই ম্যাচে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির শততম উইকেটের মাইলফলক ছুঁতে কেবল একটি শিকার প্রয়োজন ছিল বুমরাহ’র। আর্শদীপের পর দ্বিতীয় ভারতীয় বোলার হিসেবে তিনি সেই কীর্তি গড়েছেন। ৮১ টি-টোয়েন্টিতে মাত্র ১৭.৯১ গড়ে বুমরাহ’র উইকেট ১০১টি। আর্শদীপ ৬৯ ম্যাচে ১৮.৩৭ গড়ে ১০৭ উইকেট শিকার করেছেন।
ক্রিকেটবিশ্বে মাত্র পঞ্চম বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের তিন ফরম্যাটেই ১০০ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়লেন বুমরাহ। এদিক থেকে তিনি প্রথম ভারতীয় বোলার। তার আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই ন্যূনতম ১০০ উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়েন– শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা, নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদি, বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ও শাহিন শাহ আফ্রিদি। তাদের এলিট লিস্টে নতুন করে যুক্ত হলেন বুমরাহ। তিন ফরম্যাটে সবমিলিয়ে ২২২ ম্যাচে তার শিকার ৪৮৪ উইকেট।
এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ভারতের ইনিংস এতদূর টেনে আনার প্রধান ভূমিকা ছিল হার্দিক পান্ডিয়ার। ২৮ বলে ৬টি চার ও ৪ ছক্কায় তিনি ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৫৯ রান করেছেন। আর এদিনই চতুর্থ ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০টি ছক্কার রেকর্ড গড়লেন পান্ডিয়া। তার আগে এই কীর্তি গড়েন রোহিত শর্মা (২০৫), সূর্যকুমার যাদব (১৫৫) ও বিরাট কোহলি (১২৪)। ৯৯টি ছয় হাঁকিয়েছেন লোকেশ রাহুল।