5124

09/20/2024 পেটেন্ট মেয়াদ ২০ বছর রেখে সংসদে বিল পাস

পেটেন্ট মেয়াদ ২০ বছর রেখে সংসদে বিল পাস

ডেস্ক রিপোর্ট

৩ এপ্রিল ২০২২ ২৩:১৫

পেটেন্ট মালিকের স্বত্ব ১৬ বছরের বদলে ২০ বছরের জন্য সংরক্ষিত রাখার বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ পেটেন্ট বিল-২০২১’ সংসদে পাস হয়েছে। পেটেন্ট বাতিল ও অধিকার কার্যকর করার বিধানও রাখা হয়েছে বিলে।

রোববার (৩ এপ্রিল) শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বিলটির ওপর দেওয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন।

বিলটি আইনে পরিণত হলে পেটেন্টধারী ব্যক্তি ২০ বছরের জন্য স্বত্বের মালিক থাকবেন, ২০ বছর পর তা ‘জনগণের’ সম্পদ হয়ে যাবে। পুরনো আইনে এর মেয়াদ ছিল ১৬ বছর।

বর্তমান পেটেন্ট ও ডিজাইন আইনটি ১৯১১ সালের। ২০১৬ সালে এ আইনটি দুই ভাগ করে একটি পেটেন্ট আইন, আরেকটি ডিজাইন আইনের খসড়া করা হয়েছিল।

গত বছরের ১৪ নভেম্বর বিলটি সংসদে তোলা হয়। পরে সেটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, নতুনত্ব ও উদ্ভাবনী বিষয় বিদ্যমান থাকলে প্রযুক্তিগত যে কোনো পণ্য পেটেন্টযোগ্য হবে।

এতে বলা হয়েছে, আবিষ্কার, বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব ও গাণিতিক পদ্ধতি, ব্যবসা পদ্ধতি, সম্পূর্ণভাবে মানসিক কাজ সম্পাদনের বা খেলাধুলার নিয়মাবলি বা পদ্ধতি এবং এমন কোনো কম্পিউটার প্রোগ্রাম পেটেন্ট সুরক্ষার আওতার বাইরে থাকবে।

এছাড়া জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতা রক্ষার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের সীমানার মধ্যে বাণিজ্যিক ব্যবহার রোধ করা প্রয়োজন- এমন উদ্ভাবনসহ আরও বেশ কিছু বিষয় পেটেন্ট সুরক্ষার বাইরে রাখা হয়েছে।

বিলে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি এ আইনের কোনো আদেশ পালনে ব্যর্থ হয়, তাহলে আদালত ক্ষতিপূরণ ধার্য করতে পারবে।

এ আইনের অধীনে সংরক্ষিত কোনো নিবন্ধন বইয়ে মিথ্যা ভুক্তি তৈরি করলে বা করালে ২০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

বাংলাদেশে কোনো পণ্যের পেটেন্ট না থাকার পরও কেউ যদি দাবি করেন যে তিনি ওই পেটেন্টধারী, অথবা পেটেন্টের আবেদন করেছেন, তা হলে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে কোনো একটি পেটেন্টের একক বা যৌথ উদ্ভাবনের আবেদনের হলে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যৌথ উদ্ভাবকের পেটেন্টের সুরক্ষা দেওয়া হবে।

খসড়া আইনে বলা হয়েছে, কোনো ক্ষেত্রে যদি ‘জেনেটিক রিসোর্সের’ অবৈধ ব্যবহার হয়, সেক্ষেত্রে পেটেন্ট হস্তান্তর করে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে দেওয়া যাবে।

ডিএম/তাজা/২০২২

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]