বঙ্গোপসাগরের প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘আসানি’ শক্তিশালী হয়ে ভারতীয় উপকূলের কাছে পৌছেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এটি ভারতের বিশাখাপত্তম ও চেন্নাই উপকূলের মাঝামাঝি অবস্থান করছিল।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘন্টায় ৮৯ কিলোমিটার, যা ঝড়ো হাওয়া আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় আসানি এবং এর আশেপাশে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। সাগরে মাঝ ধরা সব নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে, যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে উপকূলে ফিরতে পারে। এর পাশাপাশি মাছ ধরা ট্রলারগুলোকে গভীর সাগরে যেতে নিষেধ করেছে আবহাওয়া অফিস।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০০০ কিলোমিটারের বেশি দূরে অবস্থান করায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী সর্তক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি অনেক দূরে থাকলেও এর গতিপথ পরিবর্তন করে উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে আসতে পারে। সেটি হলে মংলা বন্দরসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূল এলাকায় প্রভাব পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড়ের।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, অন্ধ্র প্রদেশের কাকিনাডা উপকূলের কাছাকাছি পৌছানোর পর ঘূর্ণিঝড় আসানি উপকূল ঘেঁষে উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে যেতে পারে। ১১ মে অন্ধ্র প্রদেশের বিশাখাপত্তম উপকূল পার হয়ে ১২ মে উড়িষ্যার ভূবনেশ্বর উপকূলে পৌছতে পারে প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি।
ইতোমধ্যে আসানির প্রভাবে প্রবল বর্ষণ হয়েছে চেন্নাই এবং আশেপাশের এলাকায়। বাংলাদেশেও ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রগামী মেঘের প্রভাবে বৃষ্টি হয়েছে দেশের বেশিরভাগ এলাকায়।
ডিএম/জুআসা/২০২২