সাবেক সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভ মারা যাওয়ার চার দিন পর শনিবার (৩সেপ্টেম্বর) তাকে সমাহিত করা হচ্ছে। বিবিসি জানিয়েছে, মস্কোতে মিখাইল গর্বাচেভকে অল্প সময়ের মধ্যে সমাহিত করা হবে।
ক্রেমলিন জানিয়েছে, কাজের সূচি আগে থেকেই নির্ধারিত থাকায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজ মিখাইলের শেষকৃত্যে উপস্থিত থাকতে পারবেন না। তাই তিনি বৃহস্পতিবার (১সেপ্টেম্বর) শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পেছনে মিখাইল গর্বাচেভের ভূমিকা দুইভাবে মূল্যায়ন করা হয়। পশ্চিমাদের কাছে মিখাইল প্রিয় পাত্র হলেও নিজ দেশে তিনি নিন্দিত। আজ তার শেষকৃত্যে রুশ প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতির বিষয়টিও অপমান হিসেবে দেখছেন অনেকেই।
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনকে শতাব্দীর সবচেয়ে বড় ভূ-রাজনৈতিক বিপর্যয় বলে অভিহিত করেছিলেন ভ্লাদিমির পুতিন। গর্বাচেভ ১৯৮৫ সালে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। তারপর সাহসী সংস্কারের সূচনা করেন এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ত্বরান্বিত হয়।
আগে থেকেই জানানো হয়েছে, মিখাইল গর্বাচেভের শেষকৃত্যানুষ্ঠান পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় হবে না। তবে গর্বাচেভকে ‘মিলিটারি গার্ড অব অনার’ দেওয়া হবে।
গত বৃহস্পতিবার রাশিয়ায় রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে গর্বাচেভের কফিনে পুতিনকে গম্ভীর মুখে লাল গোলাপ দিতে দেখা যায়। দেশীয় ঐত্যিহ্য মেনে গর্বাচেভের কফিনের প্রান্ত স্পর্শ করার আগে তিনি রাশান অর্থডক্স নিয়মানুযায়ী বুকে ক্রস চিহ্ন আঁকেন।
গর্বাচেভ ফাউন্ডেশনের প্রেস সেক্রেটারি ভ্লাদিমির পলিয়াকভের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, গর্বাচেভের শেষকৃত্যানুষ্ঠান সবার জন্য উন্মুক্ত থাকছে এবং তাকে নভোদেভিশি কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।
উল্লেখ্য, পশ্চিমাদের কাছে গর্বাচেভ ছিলেন ‘সোভিয়েতের কারাগারে বন্দি কোটি কোটি মানুষের মুক্তিদাতা’। অন্যদিকে রাশিয়ার নবীন-প্রবীণ অনেকের কাছে তিনি খলনায়ক, ‘যিনি সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে রাশিয়ার বৈশ্বিক প্রভাব মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছিলেন। ’
সূত্র : বিবিসি।