মেহেরপুর সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে প্রেমিকাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটণায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ। শনিবার (৩সেপ্টেম্বর) রাতে তাদের আদালতে সোপর্দ করলে আসামিরা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। পরে আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করে।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন-মেহেরপুর সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের গাজির ছেলে মো. আলমগীর (২৫) ও একই গ্রামের জমসের আলীর ছেলে ফিরোজ আলী (২৪)।

পুলিশ ও গ্রামবাসী থেকে জানা যায়, সদর উপজেলার নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া একটি মেয়ের সাথে ইয়াদুলের ছেলে ইউসুফের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্কের সূত্র ধরে গত ২৪ আগস্ট বিকেলে তারা আশরাফপুর গ্রামের রোয়াখালি বিলে বেড়াতে যায়। এসময় তাদের সঙ্গে ইউসুফের চার বন্ধুও ছিল।

একপর্যায়ে সন্ধ্যার দিকে ইউসুফ ও তার বন্ধুরা মিলে ওই মেয়েকে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে গত শুক্রবার (২সেপ্টেম্বর) পাঁচজনের নামে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।

ভুক্তভোগীর বাবা জানান, স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপে প্রথমে মামলা করতে পারেননি। উনারা বিষয়টি গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে মীমাংসার আশ্বাস দিয়ে মীমাংসা না করায় থানায় মামলা করেছেন।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, দেরিতে মামলা হওয়ায় আলামত পেতে সমস্যা হচ্ছিল। পরে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামিরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠিয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এখন বাকি আসামিদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা ও জবানবন্দী নেওয়া হয়েছে।