সেই কালিদাস থেকে শুরু করে বৈষ্ণব পদাবলীর অভিসার-এর পদ হয়ে উৎপলকুমার বসুর ‘মন মানে না বৃষ্টি হল এত’ পর্যন্ত কবিরা প্রেমের আদর্শ পরিবেশ তৈরি করতে বৃষ্টিকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ডেকে এনেছেন। বৃ্ষ্টির সঙ্গে প্রেমের একটা মাখোমাখো সম্পর্ক রয়েছে চিরকাল।
গরমকালে হালকা বৃষ্টির মধ্যে প্রেম করার বেশকিছু সুবিধাও রয়েছে।
১. আবহাওয়া এমনিতেই বেশ রোমান্টিক থাকে। তাই আলাদা কবিতা আওড়ে বা প্রেম গদগদ কথা বলে সঙ্গি/সঙ্গিনীকে প্রেমের জোয়ারে ভাসানোর দরকার পড়বে না।
২. ময়দানে বা ভিক্টোরিয়ায় যদি প্রেম করতে যান তাহলে ছাতার আড়ালে বসার একটা বৈধ কারণ পেয়ে যাবেন। ছাতার আড়ালে প্রেম চালান, কেউ কিছু বলতে পারবে না।
৩. ধরুন পার্কে প্রেম করতে গেলেন, পুলিশের উৎপাত বিশেষ থাকবে না। বৃষ্টির মধ্যে ছাতা মাথায় দিয়ে আপনাদের পাহারা দিতে কেউ আসার সম্ভাবনা কম।
৪. বাড়ির বাইরে যেতে চাইলে বান্ধবীর বাড়ি যাওয়ার অজুহাত তৈরি করে দিতে পারে বৃষ্টি। তার বাড়ি ছাতা মাথায় হঠাৎ গিয়ে হাজির হন। বান্ধবীর মা কে বলুন, ‘এদিকে এসেছিলাম টিউশান নিতে। কিন্তু আণ্টি, রাস্তায় হঠাৎ এমন জোরসে বৃষ্টি নামল যে, উপায় না দেখে মাথা বাঁচাতে...।’ ব্যস, আণ্টি আর বলতে পারবেন না কিছু।
৫. বন্ধ ঘরের মধ্যে প্রেম করতে করতে ব্যাপারটা যদি একটু দুষ্টুমির দিকে মোড় নেয় তাহলেও চিন্তা নেই। বৃষ্টি হলে গরম কমবে।
৬. ঘরের ভিতর থাকলে রাস্তার লোকের চোখের আড়াল হওয়ার জন্য জানলা বন্ধ করা দরকার। বৃ্ষ্টি হলে, ‘ঝাট আসছে’ এই অজুহাতে জানলা বন্ধ করে দেওয়া সহজ হবে।
৭. জোরদার বৃষ্টি হলে আর একটা সুবিধা প্রেম যদি একটু উত্তপ্ত অবস্থায় পৌঁছায় তাহলে তার শব্দ বৃষ্টির ঝমঝম আওয়জে চাপা পড়ে যাবে।