তন্ত্রমন্ত্র শিখতে ৯ বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে বলি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। বুধবার (১২ অক্টোবর) রাতে ভারতের মালদহের চাঁচল থানার গৌড়হণ্ড এলাকায় ঘটেছে এই ঘটনা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দারা শিশুর মৃতদেহ খুঁজে পান। এরপর ২০ বছর বয়সী বিক্রম ভগৎ নামে এক স্থানীয় যুবককে ওই কাণ্ডে জড়িত সন্দেহে তারা আটক করে ব্যাপক মারধর করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে চাঁচল থানার পুলিশ। ইতোমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
দেশটির পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে খোঁজ মিলছিল না ওই শিশুটির। স্থানীয় বাসিন্দারা তার সন্ধান শুরু করেন এলাকাজুড়ে। এর মাঝেই বুধবার রাত ৯টা নাগাদ বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি পুকুরের পাড়ে পাওয়া যায় নাবালিকার রক্তাক্ত এবং ক্ষতবিক্ষত দেহ।
রিপোর্ট থেকে জানা যায়, শিশুটির গলার নলি কাটা হয়েছে ধারালো অস্ত্র দিয়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বিক্রমের সঙ্গে শেষ বার দেখা গিয়েছিল ওই শিশুটিকে। সন্দেহের বশে তারা বিক্রমকে ধরে মারধর করেন। অভিযুক্তের বাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
অচিন হালদার নামে স্থানীয় এক যুবকের থেকে জানা যায়, ‘বুধবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে শিশুটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ওর মা কান্নাকাটি করছিল। আমরা গ্রামের লোকজন মিলে খোঁজাখুঁজি শুরু করি। এর মাঝেই খবর আসে, বিক্রম মেয়েটার গলা কেটে ফেলে রেখেছে। বিক্রম তন্ত্রমন্ত্র শিখত। মনে হচ্ছে, শিশুটিকে বলি দিয়েছে। তার আগে ওকে ধর্ষণও করেছে বলে মনে হচ্ছে। আমরা চাই ছেলেটার ফাঁসি হোক।’