একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনয়শিল্পী, নাট্যকার মাসুম আজিজের মরদেহ সকালেসর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয় । মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে সর্বস্তরের জনগণ সেখানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
বনশ্রীতে সকাল ৯টায় প্রথম জানাজা শেষে বেলা ১১ টায় তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়। এখানে সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসা আর শ্রদ্ধায় সিক্ত হন তিনি।
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানো শেষে মরদেহ বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে নেয়া হয়। সেখানে ২য় জানাজার পর পাবনার উদ্দেশ্যে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়।
মাসুম আজিজ পাবনার কৃতী সন্তান। তাই সেখানেই বাদ এশা দাফন সম্পন্ন শেষে নিজ গ্রামে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন এই গুণী শিল্পী। দেশবরেণ্য খ্যাতিমান এ অভিনেতা বেশ কয়েক বছর ধরে ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাবেক মন্ত্রী ও অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর বলেন, আমি তাকে কখনো মনোবল হারাতে দেখিনি। অঙ্গীকারবদ্ধ নাট্যকর্মী যারা, তাদের মধ্যে একজন প্রধান ব্যক্তি আজ আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন।
অভিনেত্রী দিলারা জামান বলেন, মাসুম ভাই অত্যন্ত কাজপাগল মানুষ ছিলেন। বড় অসময়ে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। এতে আমাদের অপূরনীয় ক্ষতি হয়ে গেল।
বাবার সম্পর্কে বলতে গিয়ে মাসুম আজিজের ছেলে উৎস বলেন, তার সংগ্রামী জীবনের প্রভাব আমাদের উপর পড়তে দেননি। অনেক দৃঢ়চেতা মানুষ ছিলেন। মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি আমাকে বলতেন, সুস্থ হয়ে যাবেন। আমরা আমাদের এই অভিভাবককে হারিয়ে ফেলেছি।
গত জানুয়ারিতে তার এই রোগ ধরা পড়ে। এরপর কেমোথেরাপি ও রেডিও থেরাপি নিচ্ছিলেন তিনি। এর মধ্যে হঠাৎই শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে গত সপ্তাহে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে লাইফ সাপোর্টে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা।
ক্যানসারের পাশাপাশি হৃদ্রোগে আক্রান্ত এই গুণী শিল্পী লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (১৭ অক্টোবর) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।