8072

05/19/2024 দপ্তরিকে মেরে ফেলল ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র

দপ্তরিকে মেরে ফেলল ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র

নিজস্ব প্রতিবেদক

১১ নভেম্বর ২০২২ ০১:০১

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ছৈয়দুল আমিন না‌মে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রের বিরুদ্ধে মাদ্রাসার দপ্তরিকে হত্যার ‌অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার (৯ নভেম্বর) রাতে পুলিশ তাকে আটক করেছে।

আটককৃত ছৈয়দুল আমিন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার চাকঢালা এলাকার মো. হোসেনের ছেলে এবং মহিউচ্ছুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে খুনের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। ছৈয়দুলের দেওয়া তথ্য মতে খানাকা মসজিদের পুকুরের পশ্চিম পাশের ধান ক্ষেত থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা একটি দা উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থনীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার ছৈয়দুল বান্ধবীর সঙ্গে ক্লাস রুমে একান্তে কথা বলার সময় দপ্তরি দিদার আলম বিষয়টি দেখে ফেলেন। এই নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। দিদার সেই বিষয়টি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে জানালে ওই দিন বৈঠকে বসেন শিক্ষকেরা। এ ঘটনার পরদিন রাত ৮টার দি‌কে দিদার আলম প্রতিদিনের মতো চাকঢালা আমতলী বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়। প‌রে বুধবার পু‌লিশ মাদ্রাসায় সেই বৈঠকের সূত্র ধরে প্রকৃত আসামিকে আটক করতে সক্ষম হয়।

এ ঘটনায় নিহত দিদার আলম নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চাকঢালা এলাকার ফজুরছড়া গ্রামের হাজী ইসলাম মিয়া সওদাগরের ছেলে।তিনি একজন হাফেজ এবং একই মাদ্রাসার খণ্ডকালীন দপ্তরি।

সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার (ইমন) জানান, আটক মাদ্রাসাছাত্রকে নিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে একটি রক্তমাখা দা উদ্ধার করে। নারী সংক্রান্ত বিষয়ে এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে তা অনেকটা নিশ্চিত হওয়া গেছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মো. শাহজাহান বলেন, মাদ্রাসা দপ্তরিকে হত্যার ঘটনায় ছৈয়দুল আমিন না‌মে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্র‌কে ‌গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী
যোগাযোগ: রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল: [email protected], [email protected]