মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে আছে চার মাস বয়সী শিশু তাশরিফ। টাকার অভাবে ফুটফুটে এই শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করতে পারছে না তার পরিবার। তাই তো কোনো কিছু তোয়াক্কা না করেই তাশরিফকে বাঁচাতে সবার সাহায্য চেয়েছেন তার অসহায় মা ফারজানা।
তাশরিফ রাজবাড়ী পৌর ভবানীপুরের ফারহান ও ফারজানা দম্পতির ছেলে। শিশুটির বাবা প্রবাসে থাকলেও আছেন কর্মসংকটে।
এদিকে তাশরিফের চিকিৎসায় বহু টাকার প্রয়োজন থাকলেও বর্তমানে ঢাকা হার্ট ফাউন্ডেশনে ভর্তি ও চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় এক থেকে দেড় লাখ টাকা। কয়েকদিনের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু এই মুহুর্তে পরিবারটির পক্ষে এতো টাকা জোগার করা সম্ভব না। তাই শিশুটিকে বাঁচাতে সমাজের বিত্ত ও হৃদয়বানদের সহযোগিতা কামনা করছেন পরিবারটি।
শিশু তাশরিকের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তাশরিকের পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তার বাবা। প্রায় এক মাস হলো তিনি দুবাই গিয়েছেন। কিন্তু এখনো কোনো কাজ পাননি। এদিকে জন্মের পর থেকে অসুস্থ থাকায় তাশরিককে গত মাসের শেষের দিকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে প্রায় দুই সপ্তাহ ভর্তি রেখে চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু শারীরিক কোনো উন্নতি না হওয়ায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় শিশুটির হার্টে ফুটো ধরা পড়ে। তখন চিকিৎসক পাঁচদিনের মধ্যে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ঢাকা হার্ট ফাউন্ডেশনে নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু টাকার অভাবে তাশরিফকে হার্ট ফাউন্ডেশনে ভর্তি করতে পারছে না পরিবারটি।
শিশু তাশরিফকে সহযোগিতার মাধ্যম বিকাশ (পার্সোনাল) তাশরিফের মা (01407232120) এবং ব্যাংক হিসাব নং- 1632101114123 রিনা খাতুন (নানী) (পূবালী ব্যাংক রাজবাড়ী শাখা)।
শিশুটির মা ফারজানা ইসলাম বলেন, পরিবারে আমার স্বামী ছাড়া আর উপার্জনক্ষম কেউ নেই। এরমধ্যে মাত্র এক মাস হলো তিনি দেশের বাইরে গেছেন। এখনো কোনো কাজ পাননি। ছেলের অসুস্থতার কথা শুনে সেও টাকা দেওয়ার চেষ্টা করছে, কিন্তু পারছে না। ২০ হাজার টাকা দিয়েছিল। কিন্তু রাজবাড়ী ও ফরিদপুর মিলিয়ে খরচ হয়েছে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা।
ফরিদপুর থেকে চিকিৎসকরা পাঁচদিনের মধ্যে হার্ট ফাউন্ডেশনে ভর্তি করতে বলেছে, কিন্তু টাকার অভাবে ভর্তি করতে পারছি না। চোখের সামনে আমার ছেলেটি আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। হাসপাতালের ভর্তি ও প্রথম পর্যায়ে চিকিৎসার জন্য প্রায় এক থেকে দেড় লাখ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু এতো টাকা এখন কোথায় পাবো।
তিনি আরও বলেন, আমার শিশুকে আপনারা বাঁচান। একটু সহযোগিতা করুন।