সকাল থেকে ঝুম বৃষ্টি, ভয়াবহ যানজটের কবলে রাজধানীবাসী
 প্রকাশিত: 
 ২ জুলাই ২০২৪ ০৭:৪৮
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:৫১
 
                                দেশজুড়ে চলমান আষাঢ়ের বৃষ্টি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এরই মাঝে মঙ্গলবার সকাল থেকেই ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায়। ফলে অনেক এলাকায় প্রধান সড়কসহ অলি-গলি পানিতে ডুবে গেছে। আর এতে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে সড়কে। ভয়াবহ যানজটের কবলে পড়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে অফিসগামীরা।
মঙ্গলবার (০২ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রাফিক সংক্রান্ত গ্রুপগুলোর তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে মগবাজার এলাকায় তীব্র যানজট লক্ষ্য করা গেছে। গুলিস্তান থেকে মহাখালী বনানীগামী বাসগুলোকে দীর্ঘ সময় মগবাজার সিগনালে আটকে থাকতে দেখা গেছে। একই অবস্থা শ্যামলী-গাবতলী হয়ে সাভার-বাইপালগামী গণপরিবহনগুলোর।
একই অবস্থা খিলগাঁও-মালিবাগ হয়ে কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত সড়কে। অনেক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী এই সড়কে এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দিচ্ছেন। বিপ্লব ফয়সাল নামে এক ব্যক্তি বলেন, যথাসম্ভব খিলগাঁও-মালিবাগ এলাকা এড়িয়ে চলুন। বৃষ্টির কারণে মানিকনগর থেকে এই এলাকার সড়ক সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে আছে। প্রায় দুই ঘণ্টা যাবত একই জায়গায় আটকে আছি।
নাফিস আহমদ নামে অপর এক ব্যক্তি জানান, সকাল থেকেই সাতরাস্তা, নাবিস্কো, মহাখালী টার্মিনাল এলাকায় চলাচলকারী গাড়িগুলো এক প্রকার অচল হয়ে আছে। ১০ মিনিটের পথ পার হতে ঘণ্টা চলে যাচ্ছে।
একই অবস্থা মালিবাগ মোড় থেকে কাকরাইল হয়ে গুলিস্তান যাওয়ার পথে। শান্তিনগর ও কাকরাইলের কিছু এলাকায় পানি জমে যাওয়ায় যানজট প্রবণ এ সড়ক যাত্রীদের জন্য চরম ভোগান্তির স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে যানজটের কারণে অনেক এলাকার সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারীরা। বিশেষ করে অপ্রধান সড়ক ও আবাসিক এলাকার অভ্যন্তরের সড়কের যাত্রীরা। বাস না থাকায় রিকশার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন তারা। আর এই সুযোগে রিকশাচালকরা একপ্রকার জিম্মি করে কয়েক গুণ বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করছেন যাত্রীরা।
মুনতাহা তাসনীম নামে এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বলেন, সকালে ক্লাস থাকায় ভার্সিটিতে যাবো। বৃষ্টির মধ্যেই বসুন্ধরা আবাসিকের গেট পর্যন্ত বাসে এসেছি। এসে দেখি এই সড়ক ডুবে গেছে। রিকশায় যাবো যে ভাড়া ২০-৩০ টাকা ছিল তা এখন ৪০-৫০ হয়ে গেছে। সবাই একই ভাড়া বলছে। যেন একটা সিন্ডিকেট।

 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: