ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে চলছে না মোবাইল ডাটা
 প্রকাশিত: 
 ১৮ জুলাই ২০২৪ ০৭:০৬
 আপডেট:
 ৩১ অক্টোবর ২০২৫ ০৯:০১
 
                                প্রায় ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ জায়গাতেই মোবাইল ডাটা ব্যবহার করে ফেসবুক ও মেসেঞ্জার ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তবে ব্রডব্যান্ড লাইনে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা অব্যাহত রয়েছে। রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডি, নীলক্ষেত, পলাশী, সায়েন্সল্যাব, গ্রিনরোড, যাত্রাবাড়ী এবং পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জ, টঙ্গী এবং গাজীপুর সিটির বিভিন্ন এলাকায়ও মোবাইল ডাটা দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যাচ্ছে না। একইসঙ্গে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক এলাকাগুলোতে একই অবস্থার খবর পাওয়া গেছে।
গ্রাহকরা বলছেন, গত পরশুদিন মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দিবাগত মধ্যরাত থেকেই এমন অবস্থা শুরু হয়েছে। তবে গতকাল বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত মোবাইল ডাটা কিছুটা কাজ করলেও এরপর থেকে একেবারেই ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ডাটা চালু করার পর ফোরজি সাইন এলেও ফেসবুক ও মেসেঞ্জার কাজ করছে না। পর্যাপ্ত ডাটা থাকার পরও অনলাইনে কোনো কিছুই করা যাচ্ছে না। গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি, এয়ারটেল এবং টেলিটকের সিম ব্যবহারকারী সবার একই অবস্থা। তবে স্বাভাবিক রয়েছে ব্রডব্যান্ড লাইন। বাসা-বাড়িতে এবং বিভিন্ন অফিসে সংযোগ করা লাইনে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না।
যদিও বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কিংবা মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে নাম পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে একটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানির এক কর্মকর্তা বলেন, মোবাইল ডাটার ব্যবহারে আমাদের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা নেই। আগে যেমন ব্যবস্থাপনা ছিল এখনও ঠিক তেমনটিই আছে। তবে বিভিন্নভাবে এর গতি পরিমিত করা বা গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার গতি কমানোর সুযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং আশপাশের এলাকায় ফোরজি নেটওয়ার্ক বন্ধ করার মৌখিক নির্দেশনা সরকারের নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা বাতিলের দাবিতে দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবং সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকেই মোবাইল ডাটা ব্যবহারের ক্ষেত্রে ধীরগতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে গ্রাহকদের। অবশ্য ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার ফলে সারা দেশে ব্যাপক সংঘর্ষ ও প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেছে। সেজন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো কিছু দেখে যাচাই-বাছাই না করে শিক্ষার্থীদের কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: