মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১লা আশ্বিন ১৪৩১


অ্যাডহক নিয়োগ ও এন–ক্যাডারমেন্ট বাতিলের দাবি স্বাস্থ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের


প্রকাশিত:
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:২৮

আপডেট:
১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০১:১৪

ছবি : মামুন রশিদ

বিগত সরকারের ২০১০-১১ সময়ে চুক্তিভিত্তিক অ্যাডহক (অস্থায়ী) ও বিভিন্ন সময়ে চুক্তিভিত্তিক (প্রকল্প) নিয়োগপ্রাপ্ত ২ হাজার ৩৪৬ জনকে পিএসসি এবং মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিদ্যমান সরকারি চাকরিবিধি ভঙ্গ করে অবৈধভাবে এন–ক্যাডারমেন্টকরণ ও বিধিবহির্ভূত পদোন্নতি দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছে বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশন। স্বাস্থ্য ক্যাডার অবৈধভাবে অ্যাডহক নিয়োগ ও এন–ক্যাডারমেন্ট বাতিলের দাবিও জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশনটি।

আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তাঁরা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ নেয়ামত হোসেন (২৪তম বিসিএস), সদস্যসচিব উম্মে তানিয়া নাসরিন (২৮তম বিসিএস)। স্বাস্থ্য ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের নৈতিক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন ২৫তম ক্যাডারের সমন্বয়ে গঠিত ‘আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ’-এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়কেরা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সরকারি চাকরিবিধির লঙ্ঘন করে ক্যাডার পদগুলোতে ভিন্ন নিয়োগবিধির আওতায় নিয়োগপ্রাপ্ত অ্যাডহক ও প্রকল্প কর্মকর্তাদের পদায়ন ও পদোন্নতি দেওয়া শুরু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কিছু দুষ্কৃতকারী কর্মকর্তা। এখন পর্যন্ত ভুয়া পদোন্নতি, জনপ্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে প্রায় পাঁচ শতাধিক ভুয়া পদায়ন, ক্যাডার কর্মকর্তাকে অ্যাডহকদের অধীন করা হয়েছে। আমরা সুপ্রিম কোর্টে ২০২২ সালে মামলা করি। মামলায় রুল জারি করা থাকলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের অনিয়মকারী শাখার কর্মকর্তারা অ্যাডহক ও প্রকল্প কর্মকর্তাদের পক্ষে অবৈধ ও বিধিবহির্ভূত পদোন্নতি আদেশ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পদায়ন শাখা পুনরায় অবৈধ পদায়ন আদেশ জারি করে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, যাঁরা তাঁদের চাকরিজীবনে কখনো কোনো পরীক্ষা বা প্রশিক্ষণ নেননি, যাঁরা বিসিএসে অকৃতকার্য হয়েও এন–ক্যাডার হয়েছেন, এন–ক্যাডারের পরে পুনরায় বিসিএস ক্যাডারের পাঁচটি শর্ত থেকে মাফ পেয়েছে। বিসিএস পাস কর্মকর্তাদের চেয়ে ওপরে স্থান পেয়েছেন। এসব কারণে ৩৫ হাজার ক্যাডার কর্মকর্তা ক্ষুব্ধ। আমরা উপদেষ্টা, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, সরকারি কর্ম কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরগুলোতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সব অনিয়মগুলো লিপিবদ্ধ করে জমা দিয়েছি। ক্যাডারকে অ্যাডহক (নব এন–ক্যাডার) কর্মকর্তাদের অধীন করার রেওয়াজ কোনো আইন ও বিধিতেই সমর্থন করে না, শতভাগ অবৈধ।

সংবাদ সম্মেলনে পাঁচটি দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো সব প্রকার অবৈধভাবে স্থায়ীকরণ বাতিল করতে হবে, অবৈধ পদোন্নতি বাতিল করতে হবে, অবৈধ পদায়ন বাতিল করতে হবে, চলমান প্রমার্জনার সব প্রক্রিয়া স্থায়ী আদেশভাবে বাতিল ঘোষণা করতে হবে এবং এসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে বিধিমোতাবেক কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top