টেস্ট ড্রাইভের কথা বলে দামি গাড়ি ছিনতাই: বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী ধরা
প্রকাশিত:
২৫ মার্চ ২০২৫ ১৩:১১
আপডেট:
২৬ মার্চ ২০২৫ ১৫:৪৮

রাজধানীর শাহবাগ এলাকা থেকে টেস্ট ড্রাইভের কথা বলে বিলাসবহুল টয়োটা হ্যারিয়ার প্রাইভেটকার ছিনতাইয়ের ঘটনায় বিদেশি পিস্তলসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। তার নাম আহসান আহমেদ ওরফে মাসুম (৩৬)। এসময় তার কাছ থেকে একটি ম্যাগজিনসহ পাঁচ রাউন্ড গুলি ভর্তি বিদেশি পিস্তল, তিনটি মোবাইল ফোন ও ছিনতাই হওয়া গাড়ি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ বলছে, গ্রেফতারকৃত আহসান আহমেদ ওরফে মাসুম বুয়েটের একজন সাবেক শিক্ষার্থী এবং প্রযুক্তির ব্যবহারে অত্যন্ত দক্ষ। তিনি একজন পেশাদার অপরাধী।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রমনার ডিসি মাসুদ আলম। তিনি জানান, সোমবার (২৪ মার্চ) রাতে গুলশান থানার ৪১ নাম্বার রোডের ‘আমারি ঢাকা’ হোটেলের সামনে অভিযান চালিয়ে মাসুমকে গ্রেফতার করা হয়।
শাহবাগ থানা সূত্রে জানা যায়, পরীবাগ গার্ডেন টাওয়ারে থাকা হুইল ডিলস্ (বারভিডা-১৭৯১) নামে একটি গাড়ির শো-রুমের স্বত্বাধিকারী মাশরুর নাঈর (২৯) জাপানিজ গাড়ির একজন আমদানিকারক ও ডিস্ট্রিবিউটর। গত ৭ মার্চ বিকেলে অজ্ঞাত একজন ব্যক্তি ফোন করে টয়োটা হ্যারিয়ার গাড়ি কেনার জন্য মাশরুর নাঈরের সঙ্গে কথা বলেন। এক পর্যায়ে মাশরুর নাঈর সেই ব্যক্তিকে তার বাসার গ্যারেজে গাড়ি দেখার জন্য আসতে বলেন। পরদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সেই ব্যক্তি গ্যারেজে আসেন এবং গ্যারেজের বাইরে আরও দুইজন অবস্থান করেন। পরবর্তীতে টয়োটা হ্যারিয়ার গাড়িটি টেস্ট ড্রাইভ দেওয়ার জন্য মাশরুর নাঈরের চাচাত ভাই মো. পিয়াল মাহমুদকে নিয়ে সেই অজ্ঞাত তিনজন ব্যক্তি গাড়িটিতে ওঠেন। তারা গাড়িটি চালিয়ে রাত আনুমানিক সোয়া আটটার সময় শাহবাগের পিজি হাসপাতালের সামনে মেট্রোরেল স্টেশনে আসেন। তখন গাড়িটি থামিয়ে তাদের একজন পিয়াল মাহমুদের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে গাড়িটি নিয়ে চলে যান। গাড়ির আনুমানিক মূল্য ৮৫ লাখ টাকা। ঘটনার কিছুক্ষণ পর ছিনতাইকারীরা মাশরুর নাঈরের হোয়াটসঅ্যাপে একটি বার্তা দিয়ে মামলা না করার জন্য ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি না জানানোর জন্য হুমকি দেন। এ ঘটনায় গাড়ির মালিক মাশরুর নাঈরের অভিযোগের ভিত্তিতে শাহবাগ থানায় গত ৯ মার্চ একটি মামলা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত আহসান আহমেদ ওরফে মাসুম গাড়ি ছিনতাই করে নিয়ে পরবর্তীতে গাড়ির মালিকদের নিকট গাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে অর্থ দাবি করতেন। এর আগে ছিনতাইসহ বহু অপরাধের সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় গাড়ি ছিনতাইয়ের একাধিক মামলা রয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: