বৃহঃস্পতিবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৫, ১১ই বৈশাখ ১৪৩২


স্ত্রীকে হত্যার পর শ্বশুরকে কল দিয়ে বললেন লাশ নিয়ে যান


প্রকাশিত:
২৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:৫৮

আপডেট:
২৪ এপ্রিল ২০২৫ ২২:২০

ছবি সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে দা দিয়ে গলাকেটে হত্যার পর লাশ বুঝে নিতে শ্বশুরকে ফোন করেছে অভিযুক্ত জামাতা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের কপাটিয়াপাড়া গ্রামের কামরুজ্জামানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত গৃহবধূ নাদিরা আক্তার (২৬) ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ঝিকাতলা মাইজহাটি গ্রামের মো. আমিনুল ইসলামের স্ত্রী। তার বাবার নাম নজরুল ইসলাম। তিনি জনৈক কামরুজ্জামানের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় মেঘনা গ্রুপের একটি তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন। অভিযুক্ত আমিনুল ইসলাম (৪০) একই উপজেলার মো. ফখরুদ্দিনের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন।

নিহতের বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, বেলা ১১টার দিকে মেয়ের জামাই আমিনুল ইসলাম আমাকে ফোন করে বলে আপনার মেয়েকে মেরে ফেলছি। আপনি এসে লাশ নিয়ে যান। এই কথা বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এরপর আমি কল করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর মেয়ের নম্বরে ফোন করলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

নিহত গৃহবধূর ছোটভাই রাজিব মিয়া বলেন, আমি আর আমার বোন একই বাসায় ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করি। আপা নিচতলায় আমি দোতলায় বাস করি। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আমি কর্মস্থলে যাই। তখন বোনের ঘরের দরজায় তালাবদ্ধ দেখতে পাই। বেলা ১১টার কিছু সময় পর বাবা ফোন করে ঘটনার বিস্তারিত জানায়। আমি দ্রুত সময়ের মধ্যে বাসায় ফিরে দেখি বোনের ঘর তালাবদ্ধ। এরপর ঘরের তালা ভেঙে বোনের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পাই।

তিনি আরো জানান, আপাকে বিয়ে করার আগেও সে আরেকটা বিয়ে করে। সেই বউকেও হত্যার পর জেল খেটেছে। বিয়ের পর বিষয়টি জানতে পারি। আপাকে বিয়ে দেওয়ার পর থেকে খুবই নির্যাতন করতেন।

বাড়ির মালিক কামরুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি জানার পরপরই শ্রীপুর থানা পুলিশকে অবহিত করি। এই দম্পতি দীর্ঘ ৬ বছর যাবৎ আমার বাসায় ভাড়া থাকে।

মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ হাসমত উল্লাহ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই মুহূর্তে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি হচ্ছে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহের পাশ থেকে একটি ধারালো দা উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected], [email protected]
সম্পাদক: মো. জেহাদ হোসেন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top