দগ্ধ একই পরিবারের সবাই মারা গেলেন
প্রকাশিত:
৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২২:৩৮
আপডেট:
১২ এপ্রিল ২০২৫ ১৭:২৮

ঢাকার কেরানীগঞ্জের একটি টিনশেড বাসায় গ্যাসের চুলা থেকে আগুন লেগে দগ্ধ সোনিয়া বেগমও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এক সপ্তাহ আগের অগ্নিদুর্ঘটনায় এই নিয়ে ৫ জনের মৃত্যু হলো। তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য। এখন বেঁচে আছে শুধু ১২ বছরের ইয়াসিন।
সোনিয়া ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি ছিলেন। সোমবার (৫সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এ দুর্ঘটনায় মা ও মেয়েসহ পরিবারের চারজনকে আগেই হারিয়েছেন তিনি।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক আইউব হোসেন জানান, সোনিয়ার শরীরের ২৩ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। চিকিৎসাধীন শিশু ১২ বছরের ইয়াছিনের শরীরের ৪০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
দগ্ধদের নিয়ে আসা রফিকুল ইসলাম জানান, ৩০ আগস্ট ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ইদুনি বেগম রান্নাঘরে চুলা ধরাতে গেলে ম্যাচ ধরানোর সঙ্গে সঙ্গে বিকট শব্দে বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায়। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয় দগ্ধদের। এরপর একে একে পাঁচজন মারা গেলেন।
প্রসঙ্গত, জিনজিরা মান্দাইল জেলেপাড়ার টিনশেড বাসায় ৩০ অগাস্ট গ্যাসের চুলা থেকে আগুন লাগলে ২ শিশুসহ ছয়জন দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে সোনিয়ার মেয়ে ৮ বছরের মরিয়ম আক্তার ওইদিনই মারা যায়। এরপর শুক্রবার (২সেপ্টেম্বর) দুপুরে সোনিয়ার বোনের ছেলে শাহাদত হোসেন এবং সন্ধ্যায় তার মা বেগম মারা যান। দুদিন পর সোমবার (৫সেপ্টেম্বর) মারা যান সোনিয়ার খালা পান্না বেগম।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: